0 awesome comments!
যুক্তরাষ্ট্রের মামলায় কোথাও শফিক রেহমানের নাম নেই: মির্জা ফখরুল ইসলাম
যুক্তরাষ্ট্রের মামলায় কোথাও শফিক রেহমানের নাম নেই বলে দাবি করেছে বিএনপি। শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলশান-২ বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি করেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিচার হওয়া মামলার অভিযোগপত্র, আদালতে জমা দেওয়া সরকারের লিখিত রিপোর্ট, অভিযুক্ত বা সাক্ষীদের কোনও জবানবন্দি ও মামলার রায় এমনকি ঢাকার রমনা থানায় দায়েরকৃত এফআইআর, পল্টন থানায় দায়ের করা মামলার কোথাও সাংবাদিক শফিক রেহমান এবং আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান অথবা বিএনপি’র কোনও নেতার নাম উল্লেখ নেই।
এছাড়া তিনি প্রশ্ন করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে দাখিল করা মার্কিন সরকারের নথিপত্রে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ৩০০ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা) সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়ে সরকার কোনও কথা বলছে না কেন?
‘মার্কিন আদালতে ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত অভিযোগে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা এবং আমেরিকায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন সম্পর্কে সরকারের নির্লিপ্ততা’ বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। এর আগে ১৯ এপ্রিল রাতে শফিক রেহমান বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল দলের নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে। সংবাদ সম্মেলনে ‘মিথ্যা অভিযোগে আটক সাংবাদিক শফিক রেহমানের মুক্তি ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানোর চক্রান্ত বন্ধ করার জন্য’ সরকারের প্রতি দাবি জানায় বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, মামলার রায়ে প্রমাণিত হয়েছে যে, রিজভী আহমেদ সিজার প্রকৃতপক্ষে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তার মা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে বিব্রত ও দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে উপস্থাপনের প্রমাণ হিসেবে নির্ভরযোগ্য ডকুমেন্ট সংগ্রহের চেষ্টা করেছিলেন। তিনি কিছুটা সফলও হয়েছিলেন। এর প্রমাণও আদালতের রায়ে লিপিবদ্ধ আছে।
সংবাদ সম্মেলনের কারণ হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়, তার মা এবং রাজনৈতিক সহকর্মীদের ভিত্তিহীন মিথ্যাচারের জবাব দেওয়া প্রয়োজন বলেই আজ আমরা আপনাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
৩০০ মিলিয়ন ডলার লেনদেন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, শেয়ার মার্কেট ও ব্যাংকগুলোর যে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে তারও কোনও বিচার হচ্ছে না। এই দুই বিষয়ের মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কিনা-এটা জানার অধিকার অবশ্যই জনগণের আছে। আর তাই জনগণ এ ব্যাপারে নিরপেক্ষ ও কার্যকর তদন্ত চায়। জনগণ জানতে চায়, সন্দেহজনক এই লেনদেনের ৩০০ মিলিয়ন ডলারের উৎস কী, এই বিপুল অর্থের প্রকৃত মালিক কে? কোনও বিশেষ ব্যক্তি না বাংলাদেশের জনগণ? আমরা আশা করি, সরকার জনগণের এসব প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব দিতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আদালতে জমা দেওয়া মার্কিন সরকারের রিপোর্টে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ কিংবা দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ আদালত গ্রহণ না করা সত্ত্বেও শুধু তার ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টের ওপর ভিত্তি করে ঢাকায় পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে এফআইআর হলো, গোপনে তদন্ত হলো, মামলা হলো এবং সুপরিচিত সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হলো, রিমান্ডে নেওয়া হলো।
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, ২০১৫ সালের ৪ মার্চ দেওয়া রায়ে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগের পক্ষে কোনও প্রমাণযোগ্য ও যুক্তিগ্রাহ্য তথ্য না পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের বিচারক মামলায় অভিযুক্ত রিজভী আহমেদ সিজারকে এই অভিযোগ থেকে অব্যহতি দিয়েছেন এবং জয়কে ‘ভিকটিম’ হিসেবে মানতে রাজি হননি। উল্লেখ্য গত ১৬ এপ্রিল সকালে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক পরিচয়ে সাদা পোশাকের কয়েকজন পুলিশ শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করে। ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন মডেল থানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মো. ফজলুর রহমানের দায়ের করা এফআইআর’র ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ফখরুল ইসলাম সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, কাল্পনিক ও মার্কিন আদালতে ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত অভিযোগে দেশে-বিদেশে অবস্থানরত বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা থেকে বিরত থাকার জন্য সরকার ও সরকারি দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, আমির মাহমুদ খসরু চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, সহ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, সহ-দফতর বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিচার হওয়া মামলার অভিযোগপত্র, আদালতে জমা দেওয়া সরকারের লিখিত রিপোর্ট, অভিযুক্ত বা সাক্ষীদের কোনও জবানবন্দি ও মামলার রায় এমনকি ঢাকার রমনা থানায় দায়েরকৃত এফআইআর, পল্টন থানায় দায়ের করা মামলার কোথাও সাংবাদিক শফিক রেহমান এবং আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান অথবা বিএনপি’র কোনও নেতার নাম উল্লেখ নেই।
এছাড়া তিনি প্রশ্ন করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে দাখিল করা মার্কিন সরকারের নথিপত্রে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ৩০০ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা) সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়ে সরকার কোনও কথা বলছে না কেন?
‘মার্কিন আদালতে ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত অভিযোগে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা এবং আমেরিকায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন সম্পর্কে সরকারের নির্লিপ্ততা’ বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। এর আগে ১৯ এপ্রিল রাতে শফিক রেহমান বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল দলের নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে। সংবাদ সম্মেলনে ‘মিথ্যা অভিযোগে আটক সাংবাদিক শফিক রেহমানের মুক্তি ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানোর চক্রান্ত বন্ধ করার জন্য’ সরকারের প্রতি দাবি জানায় বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, মামলার রায়ে প্রমাণিত হয়েছে যে, রিজভী আহমেদ সিজার প্রকৃতপক্ষে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তার মা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে বিব্রত ও দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে উপস্থাপনের প্রমাণ হিসেবে নির্ভরযোগ্য ডকুমেন্ট সংগ্রহের চেষ্টা করেছিলেন। তিনি কিছুটা সফলও হয়েছিলেন। এর প্রমাণও আদালতের রায়ে লিপিবদ্ধ আছে।
সংবাদ সম্মেলনের কারণ হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়, তার মা এবং রাজনৈতিক সহকর্মীদের ভিত্তিহীন মিথ্যাচারের জবাব দেওয়া প্রয়োজন বলেই আজ আমরা আপনাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
৩০০ মিলিয়ন ডলার লেনদেন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, শেয়ার মার্কেট ও ব্যাংকগুলোর যে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে তারও কোনও বিচার হচ্ছে না। এই দুই বিষয়ের মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কিনা-এটা জানার অধিকার অবশ্যই জনগণের আছে। আর তাই জনগণ এ ব্যাপারে নিরপেক্ষ ও কার্যকর তদন্ত চায়। জনগণ জানতে চায়, সন্দেহজনক এই লেনদেনের ৩০০ মিলিয়ন ডলারের উৎস কী, এই বিপুল অর্থের প্রকৃত মালিক কে? কোনও বিশেষ ব্যক্তি না বাংলাদেশের জনগণ? আমরা আশা করি, সরকার জনগণের এসব প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব দিতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আদালতে জমা দেওয়া মার্কিন সরকারের রিপোর্টে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ কিংবা দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ আদালত গ্রহণ না করা সত্ত্বেও শুধু তার ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টের ওপর ভিত্তি করে ঢাকায় পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে এফআইআর হলো, গোপনে তদন্ত হলো, মামলা হলো এবং সুপরিচিত সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হলো, রিমান্ডে নেওয়া হলো।
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, ২০১৫ সালের ৪ মার্চ দেওয়া রায়ে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগের পক্ষে কোনও প্রমাণযোগ্য ও যুক্তিগ্রাহ্য তথ্য না পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের বিচারক মামলায় অভিযুক্ত রিজভী আহমেদ সিজারকে এই অভিযোগ থেকে অব্যহতি দিয়েছেন এবং জয়কে ‘ভিকটিম’ হিসেবে মানতে রাজি হননি। উল্লেখ্য গত ১৬ এপ্রিল সকালে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক পরিচয়ে সাদা পোশাকের কয়েকজন পুলিশ শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করে। ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন মডেল থানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মো. ফজলুর রহমানের দায়ের করা এফআইআর’র ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ফখরুল ইসলাম সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, কাল্পনিক ও মার্কিন আদালতে ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত অভিযোগে দেশে-বিদেশে অবস্থানরত বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা থেকে বিরত থাকার জন্য সরকার ও সরকারি দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, আমির মাহমুদ খসরু চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, সহ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, সহ-দফতর বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ।
Published in
Talk of the nation