৪০০ মানুষের রক্তে হাত রাঙানো সাদা বিধবা
অন্তত চারশ' মানুষের রক্তে হাত রাঙিয়েছেন তিনি। ব্রিটেনের মোস্ট ওয়ান্টেড এই নারী সন্ত্রাসীকে বলা হয়ে থাকে 'সাদা বিধবা'। ৩২ বছর বয়সী ওই নারী সন্ত্রাসীর আসল নাম সামান্থা লেথওয়েট। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এই নারী চার সন্তানের মা।
সন্ত্রাসী অভিযান, আত্মঘাতী হামলা ও গাড়ি বোমা হামলায় চার শতাধিক মানুষকে হত্যার পরিকল্পনাকারী এই 'সাদা বিধবা'। সোমালি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর এ তথ্য দিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, গত মাসে কেনিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলায় ১৪৮ জনের প্রাণহানির পেছনেও ওই বিধবার হাত রয়েছে। ২০০৫ সালের ৭ জুলাই (৭/৭) লন্ডনে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের একজন জার্মেইন লিন্ডসের বিধবা স্ত্রী সামান্থা। সাবেক এক সৈনিকের মেয়ে সামান্থা। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, ১৫ বছরের বালকদেরও তিনি আত্মঘাতী বোমা হামলা করতে মগজ ধোলাই করে থাকেন।
৭/৭ লন্ডন হামলার পরই যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে যান সামান্থা। গুজব আছে, যুক্তরাজ্য ছাড়ার পর তিনি তার চেহারা বদলে ফেলেছেন।
ধারণা করা হয়, যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে আফ্রিকায় আশ্রয় নিয়েছেন সামান্থা। সোমালিয়ার চরমপন্থী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আল শাবাবের হয়েও তিনি কাজ করছেন বলে অনুমান করা হয়।
সোমালিয়ায় ড্রোন হামলায় আল শাববের জ্যেষ্ঠ নেতারা নিহত হওয়ার পর সন্ত্রাসী সংগঠনটির নীতি-নির্ধারণী ভূমিকাও পালন করছেন সামান্থা।
মিরর জানিয়েছে, সামান্থার পরিকল্পনায় সবচেয়ে বড় দুটো হামলা হয় ২০১৩ ও চলতি বছরে।
২০১৩ সালে কেনীয় রাজধানী নাইরোবিতে ওয়েস্টগেট শপিংমল হামলায় সামান্থার ভূমিকা ছিল। ওই হামলায় অন্তত ৬৭ জন নিহত হন।
চলতি বছরে কেনিয়ার গারিসায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে আল শাবাব যে সশস্ত্র হামলা চালায় সেখানেও হাত ছিল সামান্থার। গারিসায় হামলায় অন্তত ১৪৮ জন নিহত হন।
অভিযোগ রয়েছে, কিশোরী ও নারীদের আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বানানোর জন্য একটি বিশেষ প্রকল্পও চালু রেখেছেন সামান্থা। হামলাকারীর পরিবারকে তিনি ৪৭০ ডলার করে দিয়ে এ ধরনের নারী জিহাদি যোগাড় করেন।
সামান্থাকে ধরিয়ে দিতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ইন্টারপোল। বিশ্বের ২০০ দেশের নিরাপত্তাবাহিনী হন্যে হয়ে খুঁজছে এই সাদা বিধবাকে।