কাঁটাবিহীন ইলিশ?
'কাঁটাবিহীন' ইলিশের জাত আবিষ্কার করতে মৎস্য বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক। গতকাল রাজধানীর মৎস্য ভবনে 'ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে গবেষণা অগ্রগতি ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা' শীর্ষক এক কর্মশালায় মৎস্য বিজ্ঞানীদের প্রতি এ আহ্বান জানান মন্ত্রী। মন্ত্রীর এমন আহ্বানে অনুষ্ঠানস্থলে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত কর্মশালায় বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে ছায়েদুল হক বলেন, স্বাদের কারণে বহির্বিশ্বে ইলিশের খুব চাহিদা রয়েছে। বিদেশিরা এটা দিয়ে স্যুপ খেতে চায়। কিন্তু ইলিশে খুব বেশি কাঁটা থাকায় তারা এটা ব্যবহার করতে পারে না। তাই 'কাঁটামুক্ত' ইলিশ মাছের প্রক্রিয়াটা আপনারা আবিষ্কার করুন এবং আমাদের নলেজে দিন। ‘কাঁটামুক্ত’ ইলিশ বহির্বিশ্বে আরও বেশি জনপ্রিয় হবে।' এসময় কর্মশালায় ব্যাপক হাস্যরস পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
তখন মন্ত্রী বলেন, 'কাঁটাছাড়া ইলিশের জনপ্রিয়তার কথা আমাকে নেত্রী নিজে বলেছেন। প্রক্রিয়াটা আপনারা আমাদেরকে দেন।' মন্ত্রী আরো বলেন, 'দেশের প্রতি মানুষ যদি প্রত্যেক দিন মাছ খায় তাহলে গড় হিসেবে বার্ষিক মাছের চাহিদা হবে ২৪-৪৩ লাখ টন। ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত আমাদের দেশে বার্ষিক মাছ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩৭ লাখ টন।' বিগত বছরগুলোতে প্রতিবছর ১০-১২ হাজার টন ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে। আর সংশ্লিষ্টদের গবেষণা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে ইলিশ উৎপাদন ক্রমেই বাড়বে বলে জানান মন্ত্রী। কর্মশালয় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আনিছুর রহমান। কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আনিসুর রহমান, মৎস্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, ওয়ার্ল্ড ফিস বাংলাদেশের পরিচালক ড. ক্রেইগ মাইজনার, ইলিশ বিশেষজ্ঞ গোবিন্দ চন্দ্র হালদার প্রমুখ।