0 awesome comments!
মানুষের বিশ্বাস নাই, কিন্তু সিসিটিভি ক্যামেরা শতভাগ বিশ্বস্ত
নিজ বাসার জন্য বায়তুল মোকাররম ইলেকক্ট্রনিক্স মার্কেটের ক্যামেরা ভিশন দোকান থেকে ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা কিনতে এসে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন ধানমন্ডির বাসিন্দা ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম।
সিসিটিভি কেনার প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমার বাসার গ্যারেজ থেকে আমারই ভাড়াটিয়ার একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। তন্নতন্ন করে আমি নিজেও খুঁজেছি। সিকিউরিটি গার্ডকে শাসিয়েছি, মামলার ভয় পর্যন্ত দেখিয়েছি। কিন্তু লাভ হয়নি। এ নিয়ে ভাড়াটিয়া ও আমার মধ্যে সম্পর্কের মধ্যে এক প্রকার টানাপড়েন চলছে। আমার সন্দেহ সিকিউরিটি গার্ডকে। কিন্তু প্রমাণ নেই। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে এবং প্রকৃত অপরাধীকে ধরতেই আমার পুরো বাসায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসাব।
শুধু রবিউলই নন, এভাবে সিসিটিভি ক্যামেরার প্রতি বিশ্বাস বেড়েছে সাধারণ মানুষের। সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, পাড়া-মহল্লা, বিপণি বিতান, বাসাবাড়ি এমনকি ব্যক্তিগত কক্ষেও অনেকে বসাচ্ছেন এ যন্ত্র। আর এতেই ক্রমেই জমে উঠেছে সিটিসিভির ব্যবসাও। কোথাও কোনো নিরাপত্তাহীনতা কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা সম্ভাবনা রয়েছে এমন স্থানেই বসানো হচ্ছে আধুনিক এ যন্ত্র। সহজলভ্য এবং সহজপ্রাপ্য হওয়ায় এটিকেই সবচেয়ে বড় ভরসার কেন্দ্রবিন্দু বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ। বায়তুল মোকাররমের ইলেট্রনিক্স মার্কেটের ‘সিসিটিভি জোন’ এর স্বত্বাধিকারী মো. মেহেদী হাসান বাবু জানান, একসময় শুধু গুরুত্বপূর্ণ, স্পর্শকাতর স্থান-স্থাপনা ও অফিসে এটি ব্যবহার হতো। গত ২ থেকে ৩ বছর ধরে সাধারণ মানুষও এসবের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ব্যবসায়ীদের মতে, সহজলভ্য ও সহজপ্রাপ্যতার পাশাপাশি পরিচালনা পদ্ধতিও খুব সহজ হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এর আকর্ষণ বেশি। এর ফলে মানুষ নিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখন নিজেই নিশ্চিত করতে পারছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে অপরাধীরা ধরা পড়ছে, শনাক্ত হচ্ছে অথবা কোনো অপরাধের ক্লু বের হচ্ছেÑ গণমাধ্যমে প্রচারিত এমন সংবাদ দেখেও সাধারণ মানুষ উৎসাহ পাচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারে।
বর্তমান যুগে অপরাধ দমনে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী সিসিটিভি ক্যামেরাকেই প্রাধান্য দিয়েছে সবচেয়ে বেশি। জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান, রাস্তাঘাট, স্পর্শকাতর স্থান-ভবন সবকিছুই মনিটরিং করতে তারা সিসিটিভির আশ্রয় নেন। ২১ ফেব্রুয়ারির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বইমেলা কিংবা বিজয় দিবসের সময় জাতীয় স্টেডিয়াম, স্বাধীনতা দিবসের সময় জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানের নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। এছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় ডাকাতির ঘটনায় প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেও স্থাপন করা হয়েছে এ ক্যামেরা।
সম্প্রতি জুলহাজ ও তনয় হত্যায় হত্যাকারীদের গতিবিধি সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্পষ্ট ধারণা পায় ঘটনাস্থলের কাছে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ থেকে। গত বছর পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এক নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনা তদন্তে পুলিশ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ। ২০১৪ সালে গুলশানের শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কির হত্যাকারীকেও এই সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যে শনাক্ত করা হয়। শপার্স ওয়ার্ল্ডের নিজস্ব সিসিটিভি ক্যামেরায় পুরো ঘটনা বন্দি হয়েছিল। ওই বছরই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। অপরাধী এ ঘটনার শুরুটা ফাঁকি দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সিসিটিভি ক্যামেরার চোখকে। ফলে অপরাধীকে বের করতে বেগ পেতে হয়নি প্রশাসনকে। চলতি বছর বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমানকে গুলিবিদ্ধের ঘটনাটিও আংশিক ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভিতে বন্দি হয়।
বায়তুল মোকাররম ইলেকট্রনিক্স মার্কেট, আগারগাঁওয়ে অবস্থিত আইডিবি ভবন, মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম মার্কেট, ধানমন্ডিতে অবস্থিত সিসিটিভি ক্যামেরার মার্কেটে সিসিটিভির দরদাম ও চাহিদা সম্পর্কে কথা হয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। জানা গেছে, এসব ক্যামেরার মধ্যে রয়েছে অ্যানালগ, ডিজিটাল এবং নেটওয়ার্কিং সিস্টেম ক্যামেরা। আবার কোনোটি রয়েছে যাতে তার ব্যবহার করা হয় না, এর নাম ইন্টারনেট প্রোটকল (আইপি) ক্যামেরা। এর দামও সিসিটিভি ক্যামেরার মতোই। এর সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে ইন্টারনেট নির্ভর। এর মনিটর হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের মোবাইল, আইফোন অর্থাৎ স্মার্টফোনও ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারকারী বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে এই ক্যামেরায় ধারণ করা ছবি-ভিডিও দেখতে ও রেকর্ড করতে পারবেন। এছাড়া কেউ চাইলে ইন্টারনেট সুবিধাযুক্ত ডেক্সটপ-ল্যাপটপ কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়া নেটওয়ার্কিং সিস্টেম সিসিটিভি ক্যামেরাও এর মতোই। তবে এর সঙ্গে তার ব্যবহার করা হয়, যুক্ত করতে হয় ইন্টারনেট সুবিধা সম্পন্ন ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার (ডিভিআর)। এসবের মধ্যেও রয়েছে শ্রেণিবিভাগ। কোনোটির মধ্যে যুক্ত করা যায় ৪টি, কোনোটির মধ্যে ৮টি বা ১৬টি ক্যামেরা। অ্যানালগ ও ডিজিটাল ক্যামেরার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট দরকার হয় না। সাধারণ নিয়মেই ডিভিআর ও টিভি দিয়ে এসব দেখা যায়। এক্ষেত্রে পিকচার টিউববিহীন টেলিভিশনই সবচেয়ে শ্রেয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা। কারণ এটি স্থাপন সহজ, ওজন কম, দেখতেও আকর্ষণীয়। এসব ক্যামেরা দিয়ে দিনেও যেমন ছবি বা ভিডিও করা সম্ভব। তেমনি গভীর রাতেও কৃত্রিম বাতি ছাড়াও ভিডিও করা সম্ভব।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্য, তাইওয়ান, চীনের তৈরি সিসিটিভি ও আইপি ক্যামেরাই সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভাল ক্যামেরা যুক্তরাজ্যের, এর দামও বেশি। দাম ও মানের দিক থেকে এর পরের কাতারে তাইওয়ান ও চীনের তৈরি ক্যামেরা। মান ও আকারের দিক থেকে এসবের এক একটির দাম পড়ে কমপক্ষে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০টাকা, সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা। ব্যবসায়ীরা আরও জানান, আইপি ক্যামেরার চেয়ে সিসিটিভি ক্যামেরার ক্রেতাই বেশি এবং অ্যানালগের চেয়ে বর্তমানে ডিজিটাল ক্যামেরাই বেশি বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রত্যেক ব্যবসায়ীই ক্যামেরার গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি দিচ্ছে। এক্ষেত্রে সবনিু এক বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের ওয়ারেন্টি দিচ্ছেন কোনো কোনো ব্যবসায়ী। কেউ কেউ দিচ্ছেন এক থেকে ২ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। প্রধানত এসব নির্ভর করে ক্যামেরা কোন দেশের তৈরি এর ওপর। আর বিনাখরচেই ব্যবসায়ীরা ক্রেতার নির্ধারিত জায়গায় এটি স্থাপন করে দিচ্ছেন।
সিসিটিভি কেনার প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমার বাসার গ্যারেজ থেকে আমারই ভাড়াটিয়ার একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। তন্নতন্ন করে আমি নিজেও খুঁজেছি। সিকিউরিটি গার্ডকে শাসিয়েছি, মামলার ভয় পর্যন্ত দেখিয়েছি। কিন্তু লাভ হয়নি। এ নিয়ে ভাড়াটিয়া ও আমার মধ্যে সম্পর্কের মধ্যে এক প্রকার টানাপড়েন চলছে। আমার সন্দেহ সিকিউরিটি গার্ডকে। কিন্তু প্রমাণ নেই। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে এবং প্রকৃত অপরাধীকে ধরতেই আমার পুরো বাসায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসাব।
শুধু রবিউলই নন, এভাবে সিসিটিভি ক্যামেরার প্রতি বিশ্বাস বেড়েছে সাধারণ মানুষের। সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, পাড়া-মহল্লা, বিপণি বিতান, বাসাবাড়ি এমনকি ব্যক্তিগত কক্ষেও অনেকে বসাচ্ছেন এ যন্ত্র। আর এতেই ক্রমেই জমে উঠেছে সিটিসিভির ব্যবসাও। কোথাও কোনো নিরাপত্তাহীনতা কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা সম্ভাবনা রয়েছে এমন স্থানেই বসানো হচ্ছে আধুনিক এ যন্ত্র। সহজলভ্য এবং সহজপ্রাপ্য হওয়ায় এটিকেই সবচেয়ে বড় ভরসার কেন্দ্রবিন্দু বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ। বায়তুল মোকাররমের ইলেট্রনিক্স মার্কেটের ‘সিসিটিভি জোন’ এর স্বত্বাধিকারী মো. মেহেদী হাসান বাবু জানান, একসময় শুধু গুরুত্বপূর্ণ, স্পর্শকাতর স্থান-স্থাপনা ও অফিসে এটি ব্যবহার হতো। গত ২ থেকে ৩ বছর ধরে সাধারণ মানুষও এসবের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ব্যবসায়ীদের মতে, সহজলভ্য ও সহজপ্রাপ্যতার পাশাপাশি পরিচালনা পদ্ধতিও খুব সহজ হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এর আকর্ষণ বেশি। এর ফলে মানুষ নিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখন নিজেই নিশ্চিত করতে পারছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে অপরাধীরা ধরা পড়ছে, শনাক্ত হচ্ছে অথবা কোনো অপরাধের ক্লু বের হচ্ছেÑ গণমাধ্যমে প্রচারিত এমন সংবাদ দেখেও সাধারণ মানুষ উৎসাহ পাচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারে।
বর্তমান যুগে অপরাধ দমনে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী সিসিটিভি ক্যামেরাকেই প্রাধান্য দিয়েছে সবচেয়ে বেশি। জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান, রাস্তাঘাট, স্পর্শকাতর স্থান-ভবন সবকিছুই মনিটরিং করতে তারা সিসিটিভির আশ্রয় নেন। ২১ ফেব্রুয়ারির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বইমেলা কিংবা বিজয় দিবসের সময় জাতীয় স্টেডিয়াম, স্বাধীনতা দিবসের সময় জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানের নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। এছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় ডাকাতির ঘটনায় প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেও স্থাপন করা হয়েছে এ ক্যামেরা।
সম্প্রতি জুলহাজ ও তনয় হত্যায় হত্যাকারীদের গতিবিধি সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্পষ্ট ধারণা পায় ঘটনাস্থলের কাছে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ থেকে। গত বছর পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এক নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনা তদন্তে পুলিশ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ। ২০১৪ সালে গুলশানের শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কির হত্যাকারীকেও এই সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যে শনাক্ত করা হয়। শপার্স ওয়ার্ল্ডের নিজস্ব সিসিটিভি ক্যামেরায় পুরো ঘটনা বন্দি হয়েছিল। ওই বছরই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। অপরাধী এ ঘটনার শুরুটা ফাঁকি দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সিসিটিভি ক্যামেরার চোখকে। ফলে অপরাধীকে বের করতে বেগ পেতে হয়নি প্রশাসনকে। চলতি বছর বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমানকে গুলিবিদ্ধের ঘটনাটিও আংশিক ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভিতে বন্দি হয়।
বায়তুল মোকাররম ইলেকট্রনিক্স মার্কেট, আগারগাঁওয়ে অবস্থিত আইডিবি ভবন, মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম মার্কেট, ধানমন্ডিতে অবস্থিত সিসিটিভি ক্যামেরার মার্কেটে সিসিটিভির দরদাম ও চাহিদা সম্পর্কে কথা হয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। জানা গেছে, এসব ক্যামেরার মধ্যে রয়েছে অ্যানালগ, ডিজিটাল এবং নেটওয়ার্কিং সিস্টেম ক্যামেরা। আবার কোনোটি রয়েছে যাতে তার ব্যবহার করা হয় না, এর নাম ইন্টারনেট প্রোটকল (আইপি) ক্যামেরা। এর দামও সিসিটিভি ক্যামেরার মতোই। এর সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে ইন্টারনেট নির্ভর। এর মনিটর হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের মোবাইল, আইফোন অর্থাৎ স্মার্টফোনও ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারকারী বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে এই ক্যামেরায় ধারণ করা ছবি-ভিডিও দেখতে ও রেকর্ড করতে পারবেন। এছাড়া কেউ চাইলে ইন্টারনেট সুবিধাযুক্ত ডেক্সটপ-ল্যাপটপ কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়া নেটওয়ার্কিং সিস্টেম সিসিটিভি ক্যামেরাও এর মতোই। তবে এর সঙ্গে তার ব্যবহার করা হয়, যুক্ত করতে হয় ইন্টারনেট সুবিধা সম্পন্ন ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার (ডিভিআর)। এসবের মধ্যেও রয়েছে শ্রেণিবিভাগ। কোনোটির মধ্যে যুক্ত করা যায় ৪টি, কোনোটির মধ্যে ৮টি বা ১৬টি ক্যামেরা। অ্যানালগ ও ডিজিটাল ক্যামেরার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট দরকার হয় না। সাধারণ নিয়মেই ডিভিআর ও টিভি দিয়ে এসব দেখা যায়। এক্ষেত্রে পিকচার টিউববিহীন টেলিভিশনই সবচেয়ে শ্রেয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা। কারণ এটি স্থাপন সহজ, ওজন কম, দেখতেও আকর্ষণীয়। এসব ক্যামেরা দিয়ে দিনেও যেমন ছবি বা ভিডিও করা সম্ভব। তেমনি গভীর রাতেও কৃত্রিম বাতি ছাড়াও ভিডিও করা সম্ভব।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্য, তাইওয়ান, চীনের তৈরি সিসিটিভি ও আইপি ক্যামেরাই সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভাল ক্যামেরা যুক্তরাজ্যের, এর দামও বেশি। দাম ও মানের দিক থেকে এর পরের কাতারে তাইওয়ান ও চীনের তৈরি ক্যামেরা। মান ও আকারের দিক থেকে এসবের এক একটির দাম পড়ে কমপক্ষে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০টাকা, সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা। ব্যবসায়ীরা আরও জানান, আইপি ক্যামেরার চেয়ে সিসিটিভি ক্যামেরার ক্রেতাই বেশি এবং অ্যানালগের চেয়ে বর্তমানে ডিজিটাল ক্যামেরাই বেশি বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রত্যেক ব্যবসায়ীই ক্যামেরার গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি দিচ্ছে। এক্ষেত্রে সবনিু এক বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের ওয়ারেন্টি দিচ্ছেন কোনো কোনো ব্যবসায়ী। কেউ কেউ দিচ্ছেন এক থেকে ২ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। প্রধানত এসব নির্ভর করে ক্যামেরা কোন দেশের তৈরি এর ওপর। আর বিনাখরচেই ব্যবসায়ীরা ক্রেতার নির্ধারিত জায়গায় এটি স্থাপন করে দিচ্ছেন।
Published in
Talk of the nation