আমার প্রথম অ্যালবাম
তিন বছর পর এসেছে তিশমার অ্যালবাম। নাম এক্সপেরিমেন্ট। অ্যালবামটি পাওয়া যাচ্ছে তিশমার নিজস্ব ওয়েবসাইটে। তবে সিডি আকারে পাওয়া যাবে মাস খানেক পর। কথা হলো তিশমার সঙ্গে।
নতুন অ্যালবামের জন্য তিন বছর বিরতির প্রয়োজন হলো কেন?
আমার প্রথম অ্যালবাম তারা (২০০২)। এরপর পাঁচ বছরে বের হয় সাতটি অ্যালবাম। প্রথমটি জনপ্রিয় হওয়ায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিটি অ্যালবামে আমাকে একই ধরনের গান করার ব্যাপারে অনুরোধ করেন। আমি তা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলাম। নিজের জন্য অন্য ধরনের গান খুঁজছিলাম। আর পড়াশোনা নিয়েও ব্যস্ততা ছিল। এসব কারণেই একটু সময় নিতে হলো।
আপনি এখন কী পড়ছেন?
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক করছি।
অ্যালবামের নাম ‘এক্সপেরিমেন্ট’। কেন?
হিট কিংবা সুপারহিট—এ ভাবনা থেকে অ্যালবামের কাজ করিনি। ভালো কিছু কথা ও সুরের গান দিয়ে সাজানোর চেষ্টা করেছি পুরো অ্যালবামটি। এখানে বাণিজ্যিক চিন্তাটাও মাথায় রাখিনি। বেশির ভাগ গানই সফট, রক, হিপহপ ও পাঙ্ক ধাঁচের। এ অ্যালবামে আমি সফ্ট রক, সেমিক্ল্যাসিক্যাল, অলটারনেটিভ রক ও র্যাপের একটা সংমিশ্রণ করেছি। বুঝতেই পারছেন, গান নিয়ে কিছুুটা নিরীক্ষাও করেছি।
কণ্ঠ দেওয়া ছাড়া এই অ্যালবামে আর কী করেছেন?
পুরো অ্যালবামের সংগীত পরিচালনা করেছি। গিটার, পিয়ানো, কিবোর্ড, ড্রামস আমিই বাজিয়েছি। গানও লিখেছি।
ওয়েবসাইটে অ্যালবাম প্রকাশের ভাবনাটা কেন হলো?
এখন বেশির ভাগ অ্যালবামের গান প্রথমে মুঠোফোনে প্রকাশ করা হচ্ছে। মুঠোফোনে গান শোনা কিংবা কেনার প্রক্রিয়াটা যেমন আমার ওয়েবসাইটেও (www.tishmaonline.com) একই পদ্ধতিতে থাকছে। এরপর অ্যালবামটি সিডি আকারে প্রকাশ করব।