0 awesome comments!
ভালোবাসার টানে সাঁতরে ৫০০০ মাইল পাড়ি
শখের বশে সাগরে মাছ শিকার করেন জোয়াও পেরিরা ডি সৌজা নামে ব্রাজিলের এক নাগরিক। এখন তার বয়স ৭১ বছর, ব্রাজিলের একটি দ্বীপে বসবাস করেন তিনি। একটা সময় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। ২০১১ সালে মাছ শিকার করতে গিয়ে তেলে আবৃত মৃতপ্রায় একটি পেঙ্গুইন দেখতে পান ডি সৌজা। কালক্ষেপন না করে দ্রুতই ওই পেঙ্গুইনকে উদ্ধার করেন তিনি।
দীর্ঘ সময় সেবা-শুশ্রুষার মাধ্যমে সারিয়ে তুলেন মেরু অঞ্চলের প্রাণিটিকে। পেঙ্গুইনটি সুস্থ হওয়ার পর তাকে আবারও সাগরে ভাসিয়ে দেন ডি সৌজা। প্রতিদিনের নানা কাজের ব্যস্ততায় সেই পেঙ্গুইনের কথা হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন পেরিরা ডি সৌজা। কিন্তু সৌজার উপকারের কথা ভুলেনি ডিনডিম নামের পেঙ্গুইনটি। পরের বছরই সৌজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সাঁতরে ৫০০০ মাইল পাড়ি দিয়ে ব্রাজিলে যায় দক্ষিণ আমেরিকার মঙ্গোলীয় অঞ্চলের ওই প্রাণিটি। ডিনডিমকে দেখে সত্যিই অবাক হয়েছিলেন ডি সৌজা।
২০১৪ সালে আবারও সৌজার সঙ্গে দেখা করে পেঙ্গুইনটি। এরপর থেকে প্রতি বছরেই সৌজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ওই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে ডিনডিম।
প্রতিবারই সৌজার সঙ্গে আলাদাভাবে সময় কাটিয়েছে সেটি। পেরিরা ডি সৌজা বলেন, তৈলাক্ত এবং মৃতপ্রায় অবস্থায় পাওয়ার পর ডিনডিমের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলাম। সে সময় পেঙ্গুইনটির সুস্থ হতে প্রায় ১১ মাস সময় লেগেছিল। ওই সময়ের মধ্যে নিজের সন্তানের মতোই ভালোবাসা দিয়েছি পেঙ্গুইনটিকে। সুস্থ হওয়ার পর আমাকে ছেড়ে যেতেই চাইনি ডিনডিম। আমিও বুঝতে পেরেছিলাম, আমার প্রতি পেঙ্গুনটির ভালোবাসা জন্মেছিল। গ্লোভো টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, সুস্থ হয়ে ফিরে যাওয়ার পর প্রতি বছরই সাঁতরে ৫০০০ মাইল পাড়ি দিয়ে আমার দ্বীপে এসেছে ডিনডিম। এনিয়ে পঞ্চমবারের মতো আমার কাছে আসল পেঙ্গুইনটি।
ডি সৌজা বলেন, এখানে আসলে শুধু আমার সঙ্গেই সময় কাটায় ডিনডিম। তাকে স্পর্শ করা বা তার কাছে যাওয়ার অনুমতি অন্য কারো নেই। আমি ছাড়া অন্য কেউ যদি তার কাছে যায়, তবে তাদেরকে ঠোকর দেয় ডিনডিম। পেঙ্গুইনটি আমার শরীর লেহন করে। আমার সঙ্গে গোসলও করে। ডিনডিমকে সামুদ্রিক পোনা মাছ খেতে দেই।
দীর্ঘ সময় সেবা-শুশ্রুষার মাধ্যমে সারিয়ে তুলেন মেরু অঞ্চলের প্রাণিটিকে। পেঙ্গুইনটি সুস্থ হওয়ার পর তাকে আবারও সাগরে ভাসিয়ে দেন ডি সৌজা। প্রতিদিনের নানা কাজের ব্যস্ততায় সেই পেঙ্গুইনের কথা হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন পেরিরা ডি সৌজা। কিন্তু সৌজার উপকারের কথা ভুলেনি ডিনডিম নামের পেঙ্গুইনটি। পরের বছরই সৌজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সাঁতরে ৫০০০ মাইল পাড়ি দিয়ে ব্রাজিলে যায় দক্ষিণ আমেরিকার মঙ্গোলীয় অঞ্চলের ওই প্রাণিটি। ডিনডিমকে দেখে সত্যিই অবাক হয়েছিলেন ডি সৌজা।
২০১৪ সালে আবারও সৌজার সঙ্গে দেখা করে পেঙ্গুইনটি। এরপর থেকে প্রতি বছরেই সৌজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ওই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে ডিনডিম।
প্রতিবারই সৌজার সঙ্গে আলাদাভাবে সময় কাটিয়েছে সেটি। পেরিরা ডি সৌজা বলেন, তৈলাক্ত এবং মৃতপ্রায় অবস্থায় পাওয়ার পর ডিনডিমের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলাম। সে সময় পেঙ্গুইনটির সুস্থ হতে প্রায় ১১ মাস সময় লেগেছিল। ওই সময়ের মধ্যে নিজের সন্তানের মতোই ভালোবাসা দিয়েছি পেঙ্গুইনটিকে। সুস্থ হওয়ার পর আমাকে ছেড়ে যেতেই চাইনি ডিনডিম। আমিও বুঝতে পেরেছিলাম, আমার প্রতি পেঙ্গুনটির ভালোবাসা জন্মেছিল। গ্লোভো টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, সুস্থ হয়ে ফিরে যাওয়ার পর প্রতি বছরই সাঁতরে ৫০০০ মাইল পাড়ি দিয়ে আমার দ্বীপে এসেছে ডিনডিম। এনিয়ে পঞ্চমবারের মতো আমার কাছে আসল পেঙ্গুইনটি।
ডি সৌজা বলেন, এখানে আসলে শুধু আমার সঙ্গেই সময় কাটায় ডিনডিম। তাকে স্পর্শ করা বা তার কাছে যাওয়ার অনুমতি অন্য কারো নেই। আমি ছাড়া অন্য কেউ যদি তার কাছে যায়, তবে তাদেরকে ঠোকর দেয় ডিনডিম। পেঙ্গুইনটি আমার শরীর লেহন করে। আমার সঙ্গে গোসলও করে। ডিনডিমকে সামুদ্রিক পোনা মাছ খেতে দেই।
Published in
Khobor Tobor