নারীদের জন্য বিপজ্জনক ৭ শহর
প্রতিনিয়তই যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন নারীরা। বিশেষ করে রাস্তায় বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। বতর্মানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মানুষের জীবন সহজলব্ধ করলেও নারী নির্যাতনকারীদের হাতেও নতুন নতুন অস্ত্র তুলে দিয়েছে।
থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন নারীদের নির্যাতনের উপর একটি জরিপ করেছে। ৬ হাজার ৫৫০ নারীর উপর চালানো ওই জরিপে বলা হচ্ছে, বিশ্বের সাতটি শহরের পরিবহন ব্যবস্থা নারীদের জন্য খুবই বিপজ্জনক।
বোগোটা, কলম্বিয়া
নারীদের জন্য বিপজ্জনক পরিবহন ব্যবস্থার তালিকায় প্রথম স্থান কলম্বিয়ার বোগোটার। জরিপ বলা হয়েছে, এ শহরে ৯৬ লাখ মানুষের বাস। অথচ সেখানকার বাস ও ট্রেনের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। বিশেষ করে রাতে কোনো নারী বাস ও ট্রেনে চলাফেরা করলেই যৌন হয়রানি ও ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন।
নতুন দিল্লি, ভারত
কোনো নারীর পক্ষেই একা একা নতুন দিল্লিতে ঘুরে বেড়ানো সম্ভব নয়। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে চলন্ত বাসে ২৩ বছরের এক তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনাই প্রমাণ করে যে শহরটির গণপরিবহন ব্যবস্থা কতোটা অনিরাপদ।
মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো
এই শহরে যেসব নারী গণপরিবহনে চলাফেরা করেন তারা প্রায়ই মৌখিক ও শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হন।
লিমা, পেরু
পেরুর রাজধানী লিমায় ৬২ লাখ মানুষ বাস করে। তবে শহরের এক তৃতীয়াংশ মানুষই দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করে। ছিনতাই, যৌন হয়রানি, শ্লীলতাহানি এখানকার নিত্যদিনের ঘটনা। এমনকি গণপরিবহনে নারীদের চলাচল ভয়াবহ বিপদজনক।
জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া
গণপরিবহনে নারীদের যৌন হয়রানি নিয়ে এরই মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে জাকার্তার সরকার। তাই ট্রেনে নারী ও পুরুষের আলাদা বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ব্যাংকক, থাইল্যান্
দক্ষিণ এশিয়ায় পর্যটকদের কাছে অন্যতম পছন্দের স্থান ব্যাংকক। কিন্তু সেখানেও গণপরিবহন নারীদের চলাচলের জন্য তেমন নিরাপদ নয়। বাস বা ট্রেনে পকেট কাটা ও যৌন হয়রানি এখানে হরহামেশাই হয়ে থাকে।
কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রেও দেখা গেছে, এখানে গণযোগাযোগ ব্যবস্থা নারীদের জন্য নিরাপদ নয়।