৯ লক্ষণে বুঝে নিন স্মার্টফোন আপনার সম্পর্কে সর্বনাশ ঘটাচ্ছে

Rate this item
(1 Vote)

মোবাইল ফোন যেমন অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় তেমন এটি সম্পর্কের সর্বনাশও ঘটায়। আপনার যদি এমন কোনো সন্দেহ হয় যে, স্মার্টফোন সম্পর্কের সর্বনাশ ঘটাচ্ছে তাহলে এ লেখায় দেওয়া ৯টি লক্ষণ মিলিয়ে নিন।

১. শুধু ফোনেই যোগাযোগ
আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আপনি কি শুধু ফোনের মাধ্যমেই যোগাযোগ করেন? বাস্তবে তাদের সঙ্গে বহুদিন দেখা-সাক্ষাৎ হয় না? ফেসবুক কিংবা এ ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই আপনার যোগাযোগের মাধ্যম? এ বিষয়গুলো যদি সত্যি হয় তাহলে ধরে নিন আপনার মোবাইলের স্ক্রিনের মধ্যেই সব সামাজিক যোগাযোগ বন্দি হয়ে গেছে। আর বাস্তবতা থেকে আপনি ক্রমে দূরে সরে যাচ্ছেন।

২. খাওয়ার সময়েও স্মার্টফোন
খাওয়ার সময়েও আপনার কি স্মার্টফোন ব্যবহারের অভ্যাস রয়েছে? খাওয়া বাদ দিয়ে সেটির দিকে তাকিয়ে থাকেন? আপনি যদি খাওয়ার সময়েও স্মার্টফোন ব্যবহারে অভ্যস্ত হন তাহলে এ অভ্যাসের বিষয়ে নতুন করে চিন্তা করুন। বন্ধুদের সঙ্গে থাকার সময়েও যদি এ কাজটি করেন তাহলে তা আরও ক্ষতিকর।

৩. গুরুত্বপূর্ণ কথাবার্তা শুনতে পান না
স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে আপনি কি গুরুত্বপূর্ণ অনেক কথাবার্তা শুনতে পান না? পরে কথা না শোনার জন্য অন্যরা আপনাকে দায়ী করে? বহু সম্পর্কই এভাবে স্মার্টফোনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৪. সাধারণ সম্পর্কে অস্বাভাবিকতা
স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটারের স্ক্রিন যাদের কাছে সম্পর্কের জন্য স্বাভাবিক, তারা অনেকেই সাধারণ সম্পর্ক বা মুখোমুখি কথাবার্তা বলতে অস্বস্তিবোধ করেন। বিশেষ করে কোনো গ্রুপের মধ্যে থাকলে তারা সেখানে আগ্রহ পান না, বরং সেখান থেকে বেরিয়ে নীরবে স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে থাকতেই আগ্রহী হন। আপনার যদি এমন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এখনই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিন।

৫. সার্বক্ষণিক ফোনের প্রয়োজনীয়তা
আপনি কি স্মার্টফোন ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে পারেন না? স্মার্টফোনটা হাতের কাছে না থাকলে অস্থির হয়ে যান? কোনো মানুষেরই ২৪ ঘণ্টা ফোনের সঙ্গে থাকা উচিত নয়। কিছু সময় পরিবারের সদস্য ও বন্ধু-বান্ধবদের জন্য দেওয়া উচিত। আপনার যদি এতে সমস্যা হয় তাহলে বুঝে নিন, সমস্যা সূত্রপাত হয়েছে। সময় থাকতেই একে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

৬. বিচ্ছিন্নতাবোধ
স্মার্টফোন ব্যবহার করতে করতে আপনার কি অনলাইনকেই জগৎ বলে মনে হয়? বাস্তব জীবনে আপনি কি বিচ্ছিন্নতাবোধ করেন? বাস্তবে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করা কিংবা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে আপনি কি বিরক্তিবোধ করেন? বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার কোনো আগ্রহই পান না? এমন লক্ষণ যদি দেখা যায় তাহলে শিগগিরই এ বিষয়ে মনোযোগ দিন।

৭. দ্রুত সম্পর্ক নষ্ট
বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে? তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় আপনি অনলাইনের নানা প্রসঙ্গ টেনে আনেন? স্মার্টফোনের পেছনে বেশি সময় ব্যয় করেন? এমনটা হলে স্মার্টফোন ব্যবহারের দিকে লক্ষ করুন। ব্যক্তিগত সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য স্মার্টফোনের জুড়ি নেই।

৮. বারবার কথা বলতে হয়
অন্যেরা কথাবার্তা বলার সময় আপনার স্মার্টফোন ব্যবহার করার অভ্যাস রয়েছে। এর ফলে আপনি তাদের কথাবার্তায় মনোযোগ দেন না। ফলে গুরুত্বপূর্ণ কথা মিস করেন এবং তাদের আবার তা বলার জন্য অনুরোধ করেন। এমন সমস্যা আপনার মাঝে দেখা দিলে দ্রুত এ বিষয়ে সচেতন হোন।

৯. বন্ধুরা এড়িয়ে চলছে
অনলাইনে আপনার অতিরিক্ত নির্ভরতা থাকলে এক সময় বন্ধুরা বিরক্ত হয়ে আপনাকে ডাকা বাদ দিয়ে দেবে। সে ক্ষেত্রে হঠাৎ আবিষ্কার করবেন, আপনাকে ছাড়াই তারা কোথাও বেড়াতে গেছে বা মজা করেছে। এমনটা হলে বুঝবেন এর পেছনের কারণ একটাই- মাত্রাতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার।

0 awesome comments!
Scroll to Top