এক গাছে ৪০ রকমের ফল
একই গাছে ৪০ রকমের ফল। পিচ, চেরি, প্লাম, এপ্রিকট, আমন্ড, আপেল আরো কত কী! শুনে নিশ্চয় বিশ্বাস করতে পারছেন না? কিন্তু এমনটা সত্যিই হয়েছে। নিউ ইয়র্কের স্যাম ফন আকেন নামের এক শিল্পী সত্যিই এরকম একটি গাছ তৈরি করেছেন। ওই গাছে নির্দিষ্ট সময়ে সব মিলিয়ে ৪০ রকমের ফল ধরে। শুধু ফল নয়, এর আগে ফুলও ধরেছে।এই বসন্তেই ৪০ ধরনের নানা রঙের ফুলে ভরে গিয়েছিল গাছটি।
শিল্পকলার অধ্যাপক স্যাম ফনের এই বিশ্বয়কর আবিষ্কারে পুরো আমেরিকা জুড়ে খুব হইচই পড়ে গেছে। সবার কৌতুহল কীভাবে একটা গাছকে ৪০টি ফলের সমাহার বানিয়ে ফেলেছেন স্যাম!
স্যাম জানিয়েছেন এক্ষেত্রে প্রাচীন একটি পদ্ধতি অবলম্বণ করেছেন তিনি। স্যামের মতে তেমন কিছুই করেননি তিনি। শুধু কলমের গাছ বানানোর কায়দাটা ভালভাবে রপ্ত করেছেন। এশিয়াতে এটি একটি প্রচলিত পদ্ধতি। কিন্তু আমেরিকার মতো প্রযুক্তিনির্ভর দেশে দুটো গাছের ডাল কেটে, জুড়ে, গোবর সার দিয়ে একসঙ্গে বেঁধে দেওয়াটা প্রাচীন বলেই মনে করা হয়।
কিন্তু এই প্রাচীন পদ্ধতিটাই কাজে লাগিয়ে একেবারে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন স্যাম। তবে তাকে যথেষ্ট পরিশ্রমও করতে হয়েছে। সারা বছর ধরে প্রায় ১০০টি নতুন গাছের চারা জোগাড় করেছেন, তারপর বসন্তকালে একটা একটা করে কলম বানিয়েছেন। সব কলমের জোড় লাগেনি, কিছু গাছ শুকিয়ে গেছে, কিন্তু হাল ছাড়েননি স্যাম। ক্রমাগত পরিশ্রম করে গেছেন। আর এর সুফল পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি তাকে। পরের বসন্তেই যখন সাদা, গোলাপি আর লাল রঙের ফুলে ভরে গেল গাছটা, স্যামের আনন্দ যেন আর ধরে না।
এরপরেই শরৎকালে ফল ধরল গাছে। গাছটা নুয়ে পড়ল ফলের ভারে। স্যামের ফূর্তি তখন আর দেখে কে! কিন্তু ৪০ ধরনের ফল কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে স্যাম জানালেন পশ্চিমা দর্শনে চল্লিশ হল অনন্তের প্রতীক, সীমাহীনতার প্রতীক। তাই চল্লিশ। এর বেশিও না কমও না।