নবদম্পতিদের আর্থিক পরিকল্পনায় জরুরী !!!
বিয়ের পর একজন নারী ও পুরুষের জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু হয়। বিয়েটা ভালোবাসার বিয়ে কিংবা পারিবারিক পছন্দের বিয়ে যেভাবেই হোক না কেন বৈবাহিক সম্পর্কে যাওয়ার পর সত্যিকার অর্থেই নতুন একটি জীবনের সূচনা ঘটে।
এই সময়টা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ নতুন জীবনের ভবিষ্যত পরিকল্পনার জন্য। বিশেষ করে আর্থিক বিষয়ে পরিকল্পনা করা অনেক জরুরী। শুরু থেকেই সঠিক পরিকল্পনা না করতে পারলে পরবর্তীতে আর্থিক কষ্টে পরতে পারেন।
আর্থিক বিষয়ে কথা বলে নিন
নতুন জীবনের শুরুতে হয়তো আপনি সঙ্গীর সাথে খুব বেশি খোলাখুলি কথা বলতে পারবেন না। তবুও যতোটা সম্ভব আর্থিক বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলুন। একে অপরের ভবিষ্যত নিয়ে পরিকল্পনা বলে সেভাবে কথা বলে পরিষ্কার হয়ে নিন।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করুন
বিয়ে যেহেতু হয়েছে তখন সংসারের খরচ, সন্তান নেয়ার ভাবনা, সন্তানের ভবিষ্যৎ এবং সেই সাথে বার্ধক্যে নিজেদের ভবিষ্যত সব বিয়সে দাম্পত্য জীবনের শুরু থেকেই আলোচনা করে পরিকল্পনা করে নেয়া উচিত। এতে করে জীবনের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য অনুযায়ী চলার গতি ঠিক হবে।
সঞ্চয় শুরু করে দিন
একটি সংসারে কিন্তু খরচ অনেক। তাই আগে কেমন ভাবে চলতেন তা পুরোপুরি ভুলে যান। সঞ্চয় শুরু করে দিন এখন থেকেই। নিজের ও সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সঞ্চয়ে মন দিন।
মাসিক বাজেট তৈরি করে ফেলুন
নতুন বিয়ে হলে অনেক সময় কখন কিভাবে খরচ হয়ে যায় বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই। কিন্তু মাসের শুরুতেই যদি দায়িত্ব নিয়ে বাজেট তৈরি করে ফেলা শিখে নিন।
প্রতি সপ্তাহে বাজেটের হিসাব ঠিক রাখুন
অনেক সময় দেখা যায় মাসের ৪ সপ্তাহ একই ভাবে চলে না। কোনো সময় খরচ বেশি হয়, কোনো সময় কম। তাই প্রতি সপ্তাহের শেষে মাসের বাজেট ঠিক রাখার জন্য সপ্তাহের হিসাবে মিল রাখার চেষ্টা করুন।
ঋণ শোধ করে ফেলার চেষ্টা করুন
যদি বিয়ের পূর্বে বা বিয়ের সময় অথবা বিয়ের পরপর কোনো ঋণ করে থাকেন তবে তা যতো দ্রুত সম্ভব শোধ করে দেবার চেষ্টা করুন। এতে করে নিজেদের মতো একই বাজেটে চলার সুযোগ তৈরি করতে পারবেন এবং সঞ্চয়ও করতে পারবেন।
লোণ না করার প্রতিজ্ঞা করুন
লোণ করে কোনো কিছু কেনার চিন্তা বাদ দিন। বিশেষ করে যতোদিন পর্যন্ত নিজেরা একটি সঠিক বাজেটে চলতে না শিখছেন এবং মাস শেষে সঞ্চয় একই না থাকছে ততোদিন লোণ করার কথা মাথায় আনবেন না।