বুলগেরিয়ায় কুখ্যাত ভ্যাম্পায়ারের কবরের সন্ধান পাওয়া গেল
বুলগেরিয়ায় এক প্রাচীন শহরের প্রাচীন কবরে শুয়ে আছে একটি কঙ্কাল। এর বুকের এপাশ থেকে ওপাশ পর্যন্ত সেঁধিয়ে দেওয়া রয়েছে একটি তলোয়ার। আর এটিই সেই কুখ্যাত ভ্যাম্পায়ারের কবরস্থান। এ দাবিই করেছেন এক পুরাতত্ত্ববিদ। প্রফেসর নিকোলাই ওভচ্যারোভ 'বুলগেরিয়ার ইন্ডিয়ানা জোনস' নামে খ্যাত। তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন এই পৃথিবীর রহস্যময় সভ্যতার সত্যিকার ইতিহাস খুঁজে বের করবেন। এই লক্ষ্য নিয়ে বুলগেরিয়ার দক্ষিণে প্রাচীন থ্রাসিয়ান শহরে খুঁড়তে গিয়ে তিনি একটি কবরের সন্ধান পান। আর এটিই সেই রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ারের কবর বলে দাবি করেছেন তিনি।
এই প্রাচীন শহর ও এ সভ্যতা খ্রিস্টের জন্মের পাঁচ হাজার বছর আগে গড়ে ওঠে এবং মাত্র ২০ বছর আগে তা আবিষ্কার হয়েছে। মদ এবং উর্বরতার গ্রিক দেবতা ডায়োনাইসিয়াসের মন্দির বলে মনে করা হতো এখানকার স্থাপত্যকে। এখানে একটি পাহাড়ের চূড়ার সিটাডেল, একটি দুর্গ এবং একটি বিশ্রাম কক্ষের সঙ্গে 'ভ্যাম্পায়ার' এর কবর পাওয়ার তথ্য দিয়েছেন ওই পুরাতত্ত্ববিদ।
প্রফেসর অবচারোভ বলেন, এখানে যে ভ্যাম্পয়ার বিরোধী আধ্যাত্মিক কাজ করা হতো তার প্রমাণ মিলেছে। এর বুকে বিঁধানো তলোয়াড় দেখে বোঝা যাচ্ছে, খারাপ কোনো মানুষ বা আত্মাকে আটকাতে এটি করা হয়েছে। ওই সময় মানুষ এভাবে সেই সব মৃতদের কবর দিত যাদের অশুভ আত্মা বলে মনে করা হতো।
প্রফেসর জানান, কঙ্কালটি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, মানুষটির বয়স ছিল ৪০-৫০ বছরের মধ্যে। ভারি এবং তলোয়ারের মতো দেখতে একটি লোহা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে তার বুকে। এটি হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ঢোকানোর নমুনা পাওয়া গেছে। এর বাঁ পা হাঁটু থেকে আলাদা করে পাশেই রেখে দেওয়া হয়েছে। প্রায় দুই কেজি ওজনের ওই লোহার টুকরাটি কাঁধের হাড় ভেদ করে ঢুকে গেছে। তার কলার বোন টেনে বের করে আনা হয়েছে। কঙ্কালটি ১৩০০ শতকের প্রথমভাগের বলে মনে করা হচ্ছে।
বুলগেরিয়ায় এই প্রাচীন শহর থেকে ২০১২ ও ২০১৩ সালে দুটো প্রাচীন কবর পাওয়া গিয়েছিল। বুলগেরিয়ার সমুদ্রের কাছাকাছি শহর সোজোপলে এই কবর দুটো পাওয়া যায়। শহরটি 'সোজোপলের জমজ ভ্যাম্পায়ার' নামে খ্যাত। এ দুটো কবরের সঙ্গে নতুন পাওয়া কবরটির অনেক মিল রয়েছে।