0 awesome comments!
কেমন বর চাই
দেখতে খুব বেশি সুন্দর হতে হবে, এমন নয়। তবে ছেলেকে হতে হবে আকর্ষণীয়। তাঁর কথা শুনে যেন মানুষ বলে ওয়াও, দারুণ একজনকে বিয়ে করেছ তো বিন্দু। যে ছেলেকেই বিন্দু বিয়ে করবেন, তার পূর্বশর্ত হলো, ছেলের উচ্চতা হতে হবে বিন্দুর চেয়ে বেশি। বয়স হতে হবে বিন্দুর চেয়ে অন্তত ছয় বছরের বড়। আর্থিকভাবে খুব বেশি সচ্ছল হতে হবে বলে মনে করেন না বিন্দু। তবে দুজনেই যেন একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারেন, এমন মন-মানসিকতার ছেলে হবে।
বিয়ের আগে বিন্দুর আরেকটি চাওয়া হলো, ছেলেকে অবশ্যই বিন্দুর পেশাকে সম্মান জানাতে হবে।
বিন্দু বললেন, ‘আমি চাই, স্বামী আমার বন্ধু হবে। আমি কখনোই তার অতীত জীবন নিয় কথা বলব না। যদি আগে তার সঙ্গে কারও সম্পর্কও থেকে থাকে, তবে তা নিয়েও মাথা ঘামাতে চাই না। আর আমি আসলে এতটুকু বুঝি যে আমার এখন আর প্রেম করার সময় নেই। তাই পারিবারিকভাবেই বিয়েটা করব। ছেলের পরিবারে যদি তার মা থাকেন, তবে তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা হবে আসলে মা-মেয়ের মতো। আমার যেহেতু কোনো বোন নেই, তাই ছেলের বোন থাকলে সে হবে আমার বোন। ছেলের শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে অবশ্যই গ্র্যাজুয়েট।’
জাত, বংশ এসব নিয়ে মীমের ভাবনা নেই। মা-বাবার পছন্দের ছেলেকেই তিনি বিয়ে করবেন। তবে বিয়ের আগে ছেলেটি কেমন হবে বলে মীম প্রত্যাশা করেন?
‘আসলে আমি চাই যে ছেলের উচ্চতা যেন আমার মতোই হয়। শরীরে কোনো মেদ থাকাটা আমার পছন্দ নয়। মাথায় যদি টাক থাকে, তবে সেটিও ভালো লাগবে না। পড়াশোনায় অবশ্যই উচ্চতর ডিগ্রি থাকতে হবে। ছেলের অনেক টাকাপয়সা থাকতে হবে, এমন ধারণায়ও আমি বিশ্বাসী নই। ছেলেকে সংস্কৃতমনা হতে হবে। দেখতে অভিষেক বচ্চনের মতো হলে খুশি হব। সবার আগে একজন ভালো মনের মানুষ হতে হবে তাকে,’ বলছিলেন মীম।
মীমের আরও চাওয়া হলো, যাঁকে তিনি বিয়ে করবেন, সেই মানুষটিকে তিনি যেমন ভালোবাসবেন, মানুষটি তার চেয়েও তাঁকে বেশি ভালোবাসবেন। ছেলে মিষ্টভাষী হলে মীম খুবই খুশি হবেন। ছেলেকে পেশায় চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী হতে হবে।
বেশি ফরসা রঙের ছেলেকে বিয়ে করতে চান না শখ। ‘ছেলেরা বেশি ফরসা হলে তখন মেয়ে মেয়ে মনে হয়। এ জন্য ছেলের গায়ের রংটা শ্যামলা হলেই আমি খুশি। তবে ছেলেকে গুড লুকিং হতে হবে। তার উচ্চতা হতে হবে পাঁচ ফুট ১০ ইঞ্চি। ছেলে মধ্যবিত্ত হলেও আমি মেনে নেব, যদি সে একজন সৎ ও ভালো মানুষ হয়। ছেলের পরিবার যদি ভালো হয়, তবে সেই পরিবারের সঙ্গেই আমি ছেলেকে নিয়ে সেখানেই বসবাস করতে চাই। ছেলের শিক্ষাগত যোগ্যতা চলনসই হতে হবে। আমি যেহেতু এখনো কারও প্রেমে পড়িনি, তাই বিয়ের পরই আমি আমার স্বামীর সঙ্গে প্রেমটা করে নিতে চাই,’ বললেন শখ।
সারিকার প্রথম চাওয়া হলো একজন সৎ মানুষ। যেকোনো পেশার ছেলে হতে পারেন, তবে যেন চিকিৎসক না হন। কারণ সারিকার বাড়িতেই এত চিকিৎসক রয়েছেন, তাঁদের জীবনযাপন দেখলে মনে হয় চিকিৎসক ছেলে বিয়ে করলে সকাল আর গভীর রাতে ছাড়া তাঁর দেখা পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। ছেলের শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে কম করে হলেও গ্র্যাজুয়েট। ছেলের অর্থনৈতিক অবস্থা হতে হবে এমন, সারিকা এখন যেভাবে জীবন যাপন করছেন, সেভাবে জীবনযাপন যেন করে যেতে পারেন, সে দায়িত্ব নিতে হবে ছেলেকে। দেখতে অবশ্যই সুন্দর হতে হবে।
‘আমি যাকেই বিয়ে করি না কেন, সেই ছেলেটিকে আসলে আমার মন-মানসিকতার হতে হবে। আমাকে বুঝতে হবে। আমার চাওয়া-পাওয়াকে মূল্য দিতে হবে। বিয়ের পর আমি এখনকার মতোই অভিনয় ও মডেলিং করব, এ নিয়ে কোনো আপত্তি চলবে না। মনের দিক থেকে আধুনিক হতে হবে। অবশ্যই আমি তার কাজকর্মে সহযোগিতা করব। তার যেকোনো সুঃখ বা দুঃখের সাথি আমি হব। কিন্তু আমাদের দেশে সমস্যা হলো, আমরা বিয়ের সময় অনেক ভালো ভালো কথা বলে বিয়ে করি। বিয়ের পর আমাদের আসল চেহারাটা বেরিয়ে আসে। আমি এই ভণ্ড মানুষ আমার জীবনে প্রত্যাশা করি না। এ জন্য আমি গুণবিচারী ও দর্শনধারী দুটোতেই বিশ্বাসী। বাকিটা নিয়তির ওপর ছেড়ে দিচ্ছি।’
বিয়ের আগে বিন্দুর আরেকটি চাওয়া হলো, ছেলেকে অবশ্যই বিন্দুর পেশাকে সম্মান জানাতে হবে।
বিন্দু বললেন, ‘আমি চাই, স্বামী আমার বন্ধু হবে। আমি কখনোই তার অতীত জীবন নিয় কথা বলব না। যদি আগে তার সঙ্গে কারও সম্পর্কও থেকে থাকে, তবে তা নিয়েও মাথা ঘামাতে চাই না। আর আমি আসলে এতটুকু বুঝি যে আমার এখন আর প্রেম করার সময় নেই। তাই পারিবারিকভাবেই বিয়েটা করব। ছেলের পরিবারে যদি তার মা থাকেন, তবে তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা হবে আসলে মা-মেয়ের মতো। আমার যেহেতু কোনো বোন নেই, তাই ছেলের বোন থাকলে সে হবে আমার বোন। ছেলের শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে অবশ্যই গ্র্যাজুয়েট।’
জাত, বংশ এসব নিয়ে মীমের ভাবনা নেই। মা-বাবার পছন্দের ছেলেকেই তিনি বিয়ে করবেন। তবে বিয়ের আগে ছেলেটি কেমন হবে বলে মীম প্রত্যাশা করেন?
‘আসলে আমি চাই যে ছেলের উচ্চতা যেন আমার মতোই হয়। শরীরে কোনো মেদ থাকাটা আমার পছন্দ নয়। মাথায় যদি টাক থাকে, তবে সেটিও ভালো লাগবে না। পড়াশোনায় অবশ্যই উচ্চতর ডিগ্রি থাকতে হবে। ছেলের অনেক টাকাপয়সা থাকতে হবে, এমন ধারণায়ও আমি বিশ্বাসী নই। ছেলেকে সংস্কৃতমনা হতে হবে। দেখতে অভিষেক বচ্চনের মতো হলে খুশি হব। সবার আগে একজন ভালো মনের মানুষ হতে হবে তাকে,’ বলছিলেন মীম।
মীমের আরও চাওয়া হলো, যাঁকে তিনি বিয়ে করবেন, সেই মানুষটিকে তিনি যেমন ভালোবাসবেন, মানুষটি তার চেয়েও তাঁকে বেশি ভালোবাসবেন। ছেলে মিষ্টভাষী হলে মীম খুবই খুশি হবেন। ছেলেকে পেশায় চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী হতে হবে।
বেশি ফরসা রঙের ছেলেকে বিয়ে করতে চান না শখ। ‘ছেলেরা বেশি ফরসা হলে তখন মেয়ে মেয়ে মনে হয়। এ জন্য ছেলের গায়ের রংটা শ্যামলা হলেই আমি খুশি। তবে ছেলেকে গুড লুকিং হতে হবে। তার উচ্চতা হতে হবে পাঁচ ফুট ১০ ইঞ্চি। ছেলে মধ্যবিত্ত হলেও আমি মেনে নেব, যদি সে একজন সৎ ও ভালো মানুষ হয়। ছেলের পরিবার যদি ভালো হয়, তবে সেই পরিবারের সঙ্গেই আমি ছেলেকে নিয়ে সেখানেই বসবাস করতে চাই। ছেলের শিক্ষাগত যোগ্যতা চলনসই হতে হবে। আমি যেহেতু এখনো কারও প্রেমে পড়িনি, তাই বিয়ের পরই আমি আমার স্বামীর সঙ্গে প্রেমটা করে নিতে চাই,’ বললেন শখ।
সারিকার প্রথম চাওয়া হলো একজন সৎ মানুষ। যেকোনো পেশার ছেলে হতে পারেন, তবে যেন চিকিৎসক না হন। কারণ সারিকার বাড়িতেই এত চিকিৎসক রয়েছেন, তাঁদের জীবনযাপন দেখলে মনে হয় চিকিৎসক ছেলে বিয়ে করলে সকাল আর গভীর রাতে ছাড়া তাঁর দেখা পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। ছেলের শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে কম করে হলেও গ্র্যাজুয়েট। ছেলের অর্থনৈতিক অবস্থা হতে হবে এমন, সারিকা এখন যেভাবে জীবন যাপন করছেন, সেভাবে জীবনযাপন যেন করে যেতে পারেন, সে দায়িত্ব নিতে হবে ছেলেকে। দেখতে অবশ্যই সুন্দর হতে হবে।
‘আমি যাকেই বিয়ে করি না কেন, সেই ছেলেটিকে আসলে আমার মন-মানসিকতার হতে হবে। আমাকে বুঝতে হবে। আমার চাওয়া-পাওয়াকে মূল্য দিতে হবে। বিয়ের পর আমি এখনকার মতোই অভিনয় ও মডেলিং করব, এ নিয়ে কোনো আপত্তি চলবে না। মনের দিক থেকে আধুনিক হতে হবে। অবশ্যই আমি তার কাজকর্মে সহযোগিতা করব। তার যেকোনো সুঃখ বা দুঃখের সাথি আমি হব। কিন্তু আমাদের দেশে সমস্যা হলো, আমরা বিয়ের সময় অনেক ভালো ভালো কথা বলে বিয়ে করি। বিয়ের পর আমাদের আসল চেহারাটা বেরিয়ে আসে। আমি এই ভণ্ড মানুষ আমার জীবনে প্রত্যাশা করি না। এ জন্য আমি গুণবিচারী ও দর্শনধারী দুটোতেই বিশ্বাসী। বাকিটা নিয়তির ওপর ছেড়ে দিচ্ছি।’
Published in
Banglatainment