0 awesome comments!
পানামা পেপারস: ২৫ বাংলাদেশির সন্ধান
বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলা পানামা পেপারসে বাংলাদেশের কমপক্ষে ২৫ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও বেনিফিশিয়ারির নাম আছে। ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)-এর তথ্য দিয়ে আয়ারল্যান্ডের গণমাধ্যম আইরিশ টাইমসের ডিজিটাল প্রোডাকশন সম্পাদক ব্রায়ান কিলমার্টিনের গ্রাফ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ম্যাপ বলছে, এখন পর্যন্ত পাওয়া বাংলাদেশি ২৫ জনের মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান, একজন বেনিফিশিয়ারি ও ২২ জন শেয়ারহোল্ডার রয়েছেন। তবে কারও নাম প্রকাশ হয়নি। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ হলে নাম জানা যেতে পারে সবারই। অবশ্য বাংলাদেশি যে কারও নাম এলে তা তদন্ত করার ঘোষণা এসেছে ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদকের পক্ষ থেকে। দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল বলেছেন, ‘পানামা পেপারস কেলেঙ্কারির ঘটনায় বাংলাদেশের জড়িতদের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক। এ জন্য তিন সদস্যের অনুসন্ধানী দল গঠন করা হয়েছে। কমিটির নেতৃত্ব দেবেন উপপরিচালক আখতার হামিদ ভুইয়া।’
জানা যায়, পানামার আইনি প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকা থেকে ফাঁস হওয়া বিপুল পরিমাণ নথিপত্র জার্মান দৈনিক সুদেউশ জেইতুং-এর মাধ্যমে আসে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের কাছে। পরে প্রায় ৮০টি দেশের শতাধিক গণমাধ্যম কর্মী এক বছর ধরে ওই নথিপত্র বিশ্লেষণ করে গত সোমবার তা প্রকাশ করে। ১ কোটি ১৫ লাখ পরিমাণ ওই নথিপত্র পানামা পেপার্স নামে পরিচিতি পেয়েছে। এর মাধ্যমে খুলে গেছে বিশ্বের প্রভাবশালী অনেক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, ধনী ব্যক্তি ও তারকার মুখোশ।
দেশে দেশে শুরু হয়েছে তদন্ত। বাংলাদেশেও অনেক আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে তিন বছর আগের এমনই এক তালিকা নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। ২০১৩ সালের সেই তালিকাও এবারের মতোই কর ফাঁকি দেওয়ার। তবে সেটা ছিল ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ডসভিত্তিক কমনওয়েলথ ট্রাস্ট এবং সিঙ্গাপুরভিত্তিক পোর্টকিউলিস ট্রাস্টনেট নামক দুটি আইনি প্রতিষ্ঠানের তথ্যের ওপর বানানো তালিকা। সেখানে বাংলাদেশের ৩৪ প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি ও বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল। এবার মোসাক ফনসেকার মাধ্যমে কোন কোন বাংলাদেশি অবৈধ অর্থ বৈধ করেছেন তা জানা যাবে শিগগিরই। মূলত মোসাক ফনসেকা নামক আইনি প্রতিষ্ঠানটি নির্দিষ্ট ফি নেওয়ার মাধ্যমে মক্কেলদের বেনামে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। এর মাধ্যমে তারা সম্পদ গোপন এবং কর ফাঁকি দিয়ে ওই অপ্রদর্শিত আয়কে বৈধ উপায়ে ব্যবহারের সুযোগ পান। এরই মধ্যে ফাঁস হওয়া নথিগুলোর তথ্য নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে। মোসাক ফনসেকার বিতর্কিত ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
পানামা পেপারসে ক্ষমতাবান ও ধনীদের অর্থ কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে এ নিয়ে তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমুন্ডুর ডেভিড গুনলাগসন পদত্যাগ করেছেন। অফশোর আর্থিক শিল্প খাতে স্বচ্ছতা বাড়াতে বাধ্য হয়েছে পানামা। দেশটির প্রেসিডেন্ট জুয়ান কার্লোস ভারেলা টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, ‘মোসাক ফনসেকার ফাঁস হওয়া তথ্য নিয়ে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে তার দেশ কাজ করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পানামার সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বতন্ত্র ধারার কমিশন গঠন করবে। আর্থিক ও আইনি ব্যবস্থাগুলোর স্বচ্ছতা জোরদার করতে প্রস্তাবিত পরিকল্পনাগুলো পরীক্ষা করবে ওই কমিশনের অধীনে কাজ করা বিশেষজ্ঞ প্যানেল।’ অন্যদিকে, মোসাক ফনসেকা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে তাদের সার্ভার বিদেশের সার্ভার থেকে হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে। এরই মধ্যে পানামার অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছে মোসাক ফনসেকা।
তথ্য ফাঁসের এই ঘটনাকে বেআইনি ও মানবাধিকারবিরোধী বলে উল্লেখ করেন মোসাক ফনসেকার প্রতিষ্ঠাতা অংশীদার রামন ফনসেকা। এতে হ্যাকিংয়ের মতো অপরাধের ঘটনা আড়াল হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ক্ষোভ জানান তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে রামন বলেন, ‘আমরা বিস্মিত! কারণ কেউ এ ব্যাপারে বলছে না যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। বিশ্ব একরকম মেনেই নিয়েছে গোপনীয়তা কোনো মানবাধিকার নয়।’
ম্যাপ বলছে, এখন পর্যন্ত পাওয়া বাংলাদেশি ২৫ জনের মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান, একজন বেনিফিশিয়ারি ও ২২ জন শেয়ারহোল্ডার রয়েছেন। তবে কারও নাম প্রকাশ হয়নি। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ হলে নাম জানা যেতে পারে সবারই। অবশ্য বাংলাদেশি যে কারও নাম এলে তা তদন্ত করার ঘোষণা এসেছে ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদকের পক্ষ থেকে। দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল বলেছেন, ‘পানামা পেপারস কেলেঙ্কারির ঘটনায় বাংলাদেশের জড়িতদের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক। এ জন্য তিন সদস্যের অনুসন্ধানী দল গঠন করা হয়েছে। কমিটির নেতৃত্ব দেবেন উপপরিচালক আখতার হামিদ ভুইয়া।’
জানা যায়, পানামার আইনি প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকা থেকে ফাঁস হওয়া বিপুল পরিমাণ নথিপত্র জার্মান দৈনিক সুদেউশ জেইতুং-এর মাধ্যমে আসে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের কাছে। পরে প্রায় ৮০টি দেশের শতাধিক গণমাধ্যম কর্মী এক বছর ধরে ওই নথিপত্র বিশ্লেষণ করে গত সোমবার তা প্রকাশ করে। ১ কোটি ১৫ লাখ পরিমাণ ওই নথিপত্র পানামা পেপার্স নামে পরিচিতি পেয়েছে। এর মাধ্যমে খুলে গেছে বিশ্বের প্রভাবশালী অনেক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, ধনী ব্যক্তি ও তারকার মুখোশ।
দেশে দেশে শুরু হয়েছে তদন্ত। বাংলাদেশেও অনেক আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে তিন বছর আগের এমনই এক তালিকা নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। ২০১৩ সালের সেই তালিকাও এবারের মতোই কর ফাঁকি দেওয়ার। তবে সেটা ছিল ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ডসভিত্তিক কমনওয়েলথ ট্রাস্ট এবং সিঙ্গাপুরভিত্তিক পোর্টকিউলিস ট্রাস্টনেট নামক দুটি আইনি প্রতিষ্ঠানের তথ্যের ওপর বানানো তালিকা। সেখানে বাংলাদেশের ৩৪ প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি ও বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল। এবার মোসাক ফনসেকার মাধ্যমে কোন কোন বাংলাদেশি অবৈধ অর্থ বৈধ করেছেন তা জানা যাবে শিগগিরই। মূলত মোসাক ফনসেকা নামক আইনি প্রতিষ্ঠানটি নির্দিষ্ট ফি নেওয়ার মাধ্যমে মক্কেলদের বেনামে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। এর মাধ্যমে তারা সম্পদ গোপন এবং কর ফাঁকি দিয়ে ওই অপ্রদর্শিত আয়কে বৈধ উপায়ে ব্যবহারের সুযোগ পান। এরই মধ্যে ফাঁস হওয়া নথিগুলোর তথ্য নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে। মোসাক ফনসেকার বিতর্কিত ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
পানামা পেপারসে ক্ষমতাবান ও ধনীদের অর্থ কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে এ নিয়ে তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমুন্ডুর ডেভিড গুনলাগসন পদত্যাগ করেছেন। অফশোর আর্থিক শিল্প খাতে স্বচ্ছতা বাড়াতে বাধ্য হয়েছে পানামা। দেশটির প্রেসিডেন্ট জুয়ান কার্লোস ভারেলা টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, ‘মোসাক ফনসেকার ফাঁস হওয়া তথ্য নিয়ে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে তার দেশ কাজ করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পানামার সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বতন্ত্র ধারার কমিশন গঠন করবে। আর্থিক ও আইনি ব্যবস্থাগুলোর স্বচ্ছতা জোরদার করতে প্রস্তাবিত পরিকল্পনাগুলো পরীক্ষা করবে ওই কমিশনের অধীনে কাজ করা বিশেষজ্ঞ প্যানেল।’ অন্যদিকে, মোসাক ফনসেকা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে তাদের সার্ভার বিদেশের সার্ভার থেকে হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে। এরই মধ্যে পানামার অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছে মোসাক ফনসেকা।
তথ্য ফাঁসের এই ঘটনাকে বেআইনি ও মানবাধিকারবিরোধী বলে উল্লেখ করেন মোসাক ফনসেকার প্রতিষ্ঠাতা অংশীদার রামন ফনসেকা। এতে হ্যাকিংয়ের মতো অপরাধের ঘটনা আড়াল হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ক্ষোভ জানান তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে রামন বলেন, ‘আমরা বিস্মিত! কারণ কেউ এ ব্যাপারে বলছে না যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। বিশ্ব একরকম মেনেই নিয়েছে গোপনীয়তা কোনো মানবাধিকার নয়।’
Published in
Talk of the nation