0 awesome comments!
সুমাইয়া শিমু এখন
বাড়িতে খিচুড়ি রান্না হচ্ছে। চাচারা বেড়াতে এসেছেন। একটু পর বোনও চলে এলেন ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে। দারুণ হইচই। আর এখনই কিনা ড্রইংরুমের কাচের দরজা টেনে বাড়ির মেয়েটিকে সাক্ষাৎকার দিতে হচ্ছে! মন তো পড়ে আছে তার ওখানে। একরকম জোর করেই সুমাইয়া শিমু মন বসালেন সাক্ষাৎকারে।
‘আমাদের এত আত্মীয়স্বজন, সবাইকে নিয়ে দারুণ মজা হয়। শুটিং না থাকলে আর কোথাও আমাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। পাবেন বাড়িতে।’
ঘরভর্তি গাছ, ক্রিস্টালের শোপিস, এখানে-ওখানে মৃদু আলো। বাড়িটা টিপটপ রাখার দায়িত্ব শিমুর ওপরই। ‘সামনেই একটা নার্সারি আছে। ওখানে সবাই আমাকে চেনে। কালকেই শিশু একাডেমীর সামনে থেকে কিনলাম এই গাছটা। গাছপালা আর বই—কাজের পর সময় কাটাই এই নিয়েই।’ বলেন তিনি।
এখন ঈদের নাটকের দারুণ চাপ। দীপংকর দীপন, তুহিন অবন্ত, ফেরদৌস হাসান, সকাল আহমেদ প্রমুখ পরিচালকের ঈদের নাটকে কাজ করছেন শিমু। এর ফাঁকে একটা গোটা দিন কীভাবে যেন ছুটি পেলেন। সেই দিনটাতেই আমরা হাজির তাঁর বাসায়।
‘এবার ঈদে আমি একদম একা। মা যাচ্ছেন হজে। বাবা আর ভাই যাবেন গ্রামের বাড়িতে। বোনও শ্বশুরবাড়িতে। এবার আমি বুয়াদের নিয়েই ঈদ করব।’ হাসলেন শিমু।
‘আত্মীয়দের সবাই বলছেন তাঁদের বাসায় চলে যেতে। কিন্তু আমি বাড়িতে একাই থাকব। অন্য রকম একটা ঈদ হবে। ভাবছি, বন্ধুদের সবাইকে ডেকে আড্ডা দেব।’
ঈদের পর দুটো নতুন ধারাবাহিকের কাজ শুরু হচ্ছে তাঁর। ‘শওকত আলীর দক্ষিণায়নের দিন উপন্যাস অবলম্বনে সাজ্জাদ সুমনের পরিচালনায় একটি নাটক। মারুফ মিঠুর পরিচালনায় আরেকটি। আর ললিতা তো চলছেই।’ জানালেন শিমু।
ঈদের পর আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে তাঁর। কোমর বেঁধে পড়াশোনা শুরু করতে হবে। ‘পিএইচডির কাজটা এবার খুব সিরিয়াসলি শুরু করব। অনেক দিন করছি করব বলে তেমন মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না।’ বাংলাদেশের টেলিপ্লে অভিনয়ে নারী: শৈল্পিক ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষিত বিষয়ে গবেষণা করছেন তিনি।
‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়টা তেমন উপভোগ করতে পারিনি। অভিনয় আর পড়া দুটোরই চাপ ছিল আমার ওপর। সেই কষ্টের ফলও পেয়েছি। তবে এখনকার এই রঙিন জীবনটা হয়তো একসময় ফিকে হয়ে আসবে। চাইলেও হয়তো একসময় আর এত কাজ করতে পারব না। তখন তো একটা অবলম্বন লাগবে। সেই সময়টার কথা ভেবেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি।’ বলেন তিনি।
মৌমাছির মতো একটু একটু করে ভবিষ্যতের সঞ্চয়। মেপে মেপে পা ফেলে বড় একটা ধাপ পেরিয়ে যাওয়া। আর যেকোনো কিছু করার আগে চারপাশটা দেখেশুনে নেওয়া। সুমাইয়া শিমুর জীবনদর্শন এমনই। ‘আমি আসলে আশপাশের মানুষগুলোর কথা খুব ভাবি। পরিবার আমার একটা বড় শক্তি। তাঁরা কী ভাবছেন, আমার কোনো আচরণে তাঁরা কষ্ট পেলেন কি না। তা বুঝেই কাজ করি। এ কারণেই হয়তো তেমন কোনো বিতর্ক ছাড়াই এত দিন কাজ করতে পারছি।’
স্বপ্নচূড়া, এফএনএফ, হাউসফুল—কমেডি ধাঁচের চরিত্রে শিমু জনপ্রিয়তা পেয়েছেন দারুণ। ‘বাস্তবে কিন্তু আমি একদমই কমেডি করতে পারি না, বরং উল্টো। কথা কম বলি, অত হাসতেও পারি না। কেন জানি ক্যামেরার সামনে হাসির দৃশ্যে বেশ সাবলীল হয়ে যাই। কিন্তু তবু কমেডি করতে আমার ভালো লাগে না।’
ললিতায় আবার শিমুর নানা রূপ। ‘এই নাটকে এত খেটেছি। পোশাক, সাজসজ্জারও কাজটাও আমাকেই করতে হয়েছে। ললিতার শুটিং এবার কোথায় হচ্ছে জেনে নিয়ে আগে থেকেই সে রকম প্রস্তুতি নিতে হয়। তবে তা নিয়ে খেদ নেই। কষ্ট যেমন, ফলও তো তেমনই পাচ্ছি।’
শুটিং নিয়েই শিমুর সময় কাটছে এখন। তবে ইদানীং একটা সমস্যাও হচ্ছে। যেখানেই যান বিয়ের আলাপ চলছে। মা-বাবা বিয়ের কথা তো ভাবছেনই। বন্ধুবান্ধবও ঘটকালি করছে। ‘সবচেয়ে মজা লাগে যখন পারলারে বা শপিংয়ে যাই। প্রায়ই দেখা যায়, একদম অচেনা কোনো ভদ্রমহিলা এসে আমাকে বিয়ের কথা বলছেন। কারও ভাই, কারও ছেলের বউ করতে চাইছেন। কেউ আমাকে আপন ভেবে তাঁর পরিবারের সদস্য করে নিতে চাইছেন, এই ব্যাপারটা বেশ ভালোই লাগে।’ বলেন তিনি।
চারদিকে এত তোড়জোড়, যেকোনো দিনই তাই শোনা যেতে পারে শিমুর বিয়ের শুভসংবাদটা। হাসতে হাসতে এটাও জানিয়ে রাখলেন সুমাইয়া শিমু।
‘আমাদের এত আত্মীয়স্বজন, সবাইকে নিয়ে দারুণ মজা হয়। শুটিং না থাকলে আর কোথাও আমাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। পাবেন বাড়িতে।’
ঘরভর্তি গাছ, ক্রিস্টালের শোপিস, এখানে-ওখানে মৃদু আলো। বাড়িটা টিপটপ রাখার দায়িত্ব শিমুর ওপরই। ‘সামনেই একটা নার্সারি আছে। ওখানে সবাই আমাকে চেনে। কালকেই শিশু একাডেমীর সামনে থেকে কিনলাম এই গাছটা। গাছপালা আর বই—কাজের পর সময় কাটাই এই নিয়েই।’ বলেন তিনি।
এখন ঈদের নাটকের দারুণ চাপ। দীপংকর দীপন, তুহিন অবন্ত, ফেরদৌস হাসান, সকাল আহমেদ প্রমুখ পরিচালকের ঈদের নাটকে কাজ করছেন শিমু। এর ফাঁকে একটা গোটা দিন কীভাবে যেন ছুটি পেলেন। সেই দিনটাতেই আমরা হাজির তাঁর বাসায়।
‘এবার ঈদে আমি একদম একা। মা যাচ্ছেন হজে। বাবা আর ভাই যাবেন গ্রামের বাড়িতে। বোনও শ্বশুরবাড়িতে। এবার আমি বুয়াদের নিয়েই ঈদ করব।’ হাসলেন শিমু।
‘আত্মীয়দের সবাই বলছেন তাঁদের বাসায় চলে যেতে। কিন্তু আমি বাড়িতে একাই থাকব। অন্য রকম একটা ঈদ হবে। ভাবছি, বন্ধুদের সবাইকে ডেকে আড্ডা দেব।’
ঈদের পর দুটো নতুন ধারাবাহিকের কাজ শুরু হচ্ছে তাঁর। ‘শওকত আলীর দক্ষিণায়নের দিন উপন্যাস অবলম্বনে সাজ্জাদ সুমনের পরিচালনায় একটি নাটক। মারুফ মিঠুর পরিচালনায় আরেকটি। আর ললিতা তো চলছেই।’ জানালেন শিমু।
ঈদের পর আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে তাঁর। কোমর বেঁধে পড়াশোনা শুরু করতে হবে। ‘পিএইচডির কাজটা এবার খুব সিরিয়াসলি শুরু করব। অনেক দিন করছি করব বলে তেমন মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না।’ বাংলাদেশের টেলিপ্লে অভিনয়ে নারী: শৈল্পিক ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষিত বিষয়ে গবেষণা করছেন তিনি।
‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়টা তেমন উপভোগ করতে পারিনি। অভিনয় আর পড়া দুটোরই চাপ ছিল আমার ওপর। সেই কষ্টের ফলও পেয়েছি। তবে এখনকার এই রঙিন জীবনটা হয়তো একসময় ফিকে হয়ে আসবে। চাইলেও হয়তো একসময় আর এত কাজ করতে পারব না। তখন তো একটা অবলম্বন লাগবে। সেই সময়টার কথা ভেবেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি।’ বলেন তিনি।
মৌমাছির মতো একটু একটু করে ভবিষ্যতের সঞ্চয়। মেপে মেপে পা ফেলে বড় একটা ধাপ পেরিয়ে যাওয়া। আর যেকোনো কিছু করার আগে চারপাশটা দেখেশুনে নেওয়া। সুমাইয়া শিমুর জীবনদর্শন এমনই। ‘আমি আসলে আশপাশের মানুষগুলোর কথা খুব ভাবি। পরিবার আমার একটা বড় শক্তি। তাঁরা কী ভাবছেন, আমার কোনো আচরণে তাঁরা কষ্ট পেলেন কি না। তা বুঝেই কাজ করি। এ কারণেই হয়তো তেমন কোনো বিতর্ক ছাড়াই এত দিন কাজ করতে পারছি।’
স্বপ্নচূড়া, এফএনএফ, হাউসফুল—কমেডি ধাঁচের চরিত্রে শিমু জনপ্রিয়তা পেয়েছেন দারুণ। ‘বাস্তবে কিন্তু আমি একদমই কমেডি করতে পারি না, বরং উল্টো। কথা কম বলি, অত হাসতেও পারি না। কেন জানি ক্যামেরার সামনে হাসির দৃশ্যে বেশ সাবলীল হয়ে যাই। কিন্তু তবু কমেডি করতে আমার ভালো লাগে না।’
ললিতায় আবার শিমুর নানা রূপ। ‘এই নাটকে এত খেটেছি। পোশাক, সাজসজ্জারও কাজটাও আমাকেই করতে হয়েছে। ললিতার শুটিং এবার কোথায় হচ্ছে জেনে নিয়ে আগে থেকেই সে রকম প্রস্তুতি নিতে হয়। তবে তা নিয়ে খেদ নেই। কষ্ট যেমন, ফলও তো তেমনই পাচ্ছি।’
শুটিং নিয়েই শিমুর সময় কাটছে এখন। তবে ইদানীং একটা সমস্যাও হচ্ছে। যেখানেই যান বিয়ের আলাপ চলছে। মা-বাবা বিয়ের কথা তো ভাবছেনই। বন্ধুবান্ধবও ঘটকালি করছে। ‘সবচেয়ে মজা লাগে যখন পারলারে বা শপিংয়ে যাই। প্রায়ই দেখা যায়, একদম অচেনা কোনো ভদ্রমহিলা এসে আমাকে বিয়ের কথা বলছেন। কারও ভাই, কারও ছেলের বউ করতে চাইছেন। কেউ আমাকে আপন ভেবে তাঁর পরিবারের সদস্য করে নিতে চাইছেন, এই ব্যাপারটা বেশ ভালোই লাগে।’ বলেন তিনি।
চারদিকে এত তোড়জোড়, যেকোনো দিনই তাই শোনা যেতে পারে শিমুর বিয়ের শুভসংবাদটা। হাসতে হাসতে এটাও জানিয়ে রাখলেন সুমাইয়া শিমু।
Published in
Banglatainment