কিভাবে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করবেন?

Rate this item
(3 votes)

পেট গড়বড় না হলে মুখরোচক খাবার জিভে জল আনবেই। আর খিদের পেটে মনের মতো খাবার পাওয়া গেলে তো কথাই নেই। ঈশ্বরকে লাখো ধন্যবাদ। কিন্তু কোনও বিষয়েই বাড়াবাড়ি ঠিক নয়। হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। লোভে পড়ে খেয়ে নিলেন। গলা পর্যন্ত ‘ষড়পশ’! ব্যস, শুরু হল হাঁসফাঁস অবস্থা। আর সেকালের মানুষ তো সবাই নন যে, ভেজাল জিনিস কখনও পেটে যায়নি। তাই সব সময় ‘নেপোলিয়ন’ মেজাজ। যা খাই, তাই হজম। বিশেষ করে বর্তমান বিশ্বের জীবনযাপন মানেই ইঁদুরদৌড়। কাজের চাপে অনেক্ষণ খাওয়া হল না, তারপর সময় পেয়েই প্রমাণ সাইজের বারগার, সঙ্গে কোল্ড ড্রিঙ্ক পেটে চালান। স্বাস্থ্যের দফারফা। বয়স বাড়ছে, ভুঁড়িও বাড়ছে। লিপিড প্রোফাইলে ব্লাজ প্রেসার, সুগার, থাইরয়েড- গয়নায় ছড়াছড়ি। তাই মুখরোচক খাবার না ছেড়ে যদি খাদ্যাভ্যাসে একটু লাগাম দেওয়া ক্ষতি কী? জীবনযুদ্ধে লড়াই চালাতে হলে ফিটনেশের বিকল্প নেই। কষ্ট না পেয়ে ক্ষিদে সম্বরণ করা যায় কী? পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্ন্যাক্স-এ না :
নিউট্রিশনিস্টদের মতে, বেশির ভাগে ক্ষেত্রেই দেখা যায় খিদের পটে স্ন্যাক্স পেলে মন খুশ হয়ে যায়। সে পিৎজা, বার্গার-ই হোক আর এগরোল, চাউমিন। হামলে পড়ো! অনেকে তো স্ন্যাক্স ছাড়া কিছু খেতেই চান না। আর স্ন্যাক্স মানেই মেদ, হার্টর সমস্যা, ডায়াবটিসকে আমন্ত্রণ। এক্ষেত্রে সমূহ বিপদ এড়াতে মনকে নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়া উপায় নেই। মনকে বোঝান, এই স্ন্যাক্স খাওয়াটাই জীবনের লক্ষ্য নয়। বরং আমার লক্ষ্য একটা সুস্থ, স্বাভাবিক, স্বাস্থ্যকর জীবন। আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করি। খাবার আমাকে নিয়ন্ত্রণ করবে না। প্রথম দিকে একটু কষ্ট হবে। কিন্তু দেখবেন খুব কম দিনেই সাফল্য পাবেন।

খিদে জয়:
সকাল সকাল ফাজলামি হচ্ছে! পেটের জন্যই এত খাটনি। পেট না থাকলে তো, পায়ের উপর পা তুলেই জীবনটা তোফা কাটিয়ে দেওয়া যেত। ভুল বুঝবেন না। পেটে পিত্ত না ফেলেও খিদেকে জয় করা সম্ভব। যেমন, খুব খিদের চোটে পেটভরে ফাস্টফুড না খেয়ে, নির্দিষ্ট সময় অন্তর অল্প কিছু পেটে দিন। পেট খালি রাখলেই মুশকিল। দেখবেন খিদের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে আপনার হাতে।

মিষ্টি খাবো না?
সন্দেশ, রসগোল্লা, দরবেশ, সীতাভোগ, মিহিদানার মোহ কাটানো সময়েই সম্ভব হয় না। আর বাঙালিকে মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করতে বলা মানে, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া! সব কিছুই খেতে পারেন, যদি চিনিটা বাদ থাকে। অর্থাৎ সুগার-ফ্রি ব্যবহার করুন। এমন কিছু খাবার আছে, যা আপনার জিভকে পেল্লায় আরামও দেবে, অথচ শরীরও ফিট থাকবে। পারলে সেই সব খাবারগুলোই খাওয়ার চেষ্টা করুন। নিউট্রিশনিস্টদের পরামর্শ, এক্ষেত্রে সুগার-ফ্রি-র বিকল্প নেই।

খিদে কমাবে যন্ত্র:
ভাবছেন, যন্ত্র আজকাল খিদেও কমাচ্ছে! যন্ত্রটি আর কিছুই নয়, টাং ক্লিনার। গোদা বাংলায় জিভছোলা। ভারতীয় আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, সকালে ও রাতে ব্রাশ করার পর নিয়মিত জিভ পরিস্কার করলে নাকি খাদ্যাভাস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

0 awesome comments!
Scroll to Top