0 awesome comments!
কাগজের পোশাক বানিয়ে চমক শিক্ষার্থীদের
পুরনো খবরের কাগজ, ফেলে দেওয়া আর্ট পেপার, নষ্ট হয়ে যাওয়া সিডি, ফেটে যাওয়া গাড়ির টায়ার, ট্রাম-বাস-ট্রেনের টিকিট— এসব দিয়েই পোশাক, আসবাবপত্র এবং অলঙ্কার তৈরি করে বিক্রি করছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। প্রেসিডেন্সিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষার্থী ‘ক্রিয়েটিভ’ নামে একটি সংগঠন তৈরি করেছেন। নানা ধরনের কাগজ-সহ দৈনন্দিন ব্যবহারের অনেক জিনিসই ফেলে দেওয়া হয়।
সেগুলিকেই পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে তোলাই এই সংগঠনের লক্ষ্য। সংগঠনের সদস্যদের দাবি, প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, খড়গপুর আইআইটি-সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী এবং অধ্যাপকদের একাংশ প্রাথমিকভাবে তাদের কাজ নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বেশ কয়েকটি ফ্যাশন শো'তেও ডাক পেয়েছেন তারা। ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ‘ইন্ডিয়ান পাল্প অ্যান্ড পেপার অ্যাসোসিয়েশন’ও।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী চান্দ্রেয়ী চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য জিনিস নিয়ে কাজ করার প্রবণতা রয়েছে। আমরা অনেক কিছু ফেলে দিয়ে নষ্ট করি। অথচ একটু চেষ্টা করলেই সেগুলি থেকে খুব সুন্দর এবং সৃষ্টিশীল জিনিস তৈরি করা যায়।'
তবে এমন উদ্যোগ নতুন নয় বলেই জানিয়েছেন তিনি। এ দেশে এ নিয়ে বিশেষ চর্চা না হলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই ধরনের কাজ হয়েছে। বিশেষত, ষাটের দশকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য জিনিস ব্যবহারের ফ্যাশন বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। চান্দ্রেয়ী বলেন, 'এখনও আমেরিকা এবং লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশে মধুচন্দ্রিমায় নতুন দম্পতিকে কাগজের পোশাক উপহার দেওয়া হয়।'
‘ক্রিয়েটিভে’র সদস্যরা জানিয়েছেন, কাগজের পোশাক ছাড়াও তারা ব্যবহৃত সিডি থেকে বিভিন্ন ধরনের অলঙ্কার তৈরি করেন। যানবাহনের টিকিট থেকে তৈরি করেন কানের দুল। গাড়ির ফাটা টায়ার থেকে তৈরি করেন বসার আসবাব। চান্দ্রেয়ী বলেন, 'এই পোশাকগুলি তো প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য নয়। কোন বিশেষ অনুষ্ঠান বা ফ্যাশান শো'তে এগুলি পরা যেতে পারে। তাছাড়া, এগুলি তৈরি করা অত্যন্ত সময় এবং শ্রমসাধ্য। নিজেদের হাতেই তৈরি করি। তাই ন্যূনতম দাম তিন হাজার টাকা রাখতে হয়েছে।'
সেগুলিকেই পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে তোলাই এই সংগঠনের লক্ষ্য। সংগঠনের সদস্যদের দাবি, প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, খড়গপুর আইআইটি-সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী এবং অধ্যাপকদের একাংশ প্রাথমিকভাবে তাদের কাজ নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বেশ কয়েকটি ফ্যাশন শো'তেও ডাক পেয়েছেন তারা। ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ‘ইন্ডিয়ান পাল্প অ্যান্ড পেপার অ্যাসোসিয়েশন’ও।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী চান্দ্রেয়ী চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য জিনিস নিয়ে কাজ করার প্রবণতা রয়েছে। আমরা অনেক কিছু ফেলে দিয়ে নষ্ট করি। অথচ একটু চেষ্টা করলেই সেগুলি থেকে খুব সুন্দর এবং সৃষ্টিশীল জিনিস তৈরি করা যায়।'
তবে এমন উদ্যোগ নতুন নয় বলেই জানিয়েছেন তিনি। এ দেশে এ নিয়ে বিশেষ চর্চা না হলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই ধরনের কাজ হয়েছে। বিশেষত, ষাটের দশকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য জিনিস ব্যবহারের ফ্যাশন বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। চান্দ্রেয়ী বলেন, 'এখনও আমেরিকা এবং লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশে মধুচন্দ্রিমায় নতুন দম্পতিকে কাগজের পোশাক উপহার দেওয়া হয়।'
‘ক্রিয়েটিভে’র সদস্যরা জানিয়েছেন, কাগজের পোশাক ছাড়াও তারা ব্যবহৃত সিডি থেকে বিভিন্ন ধরনের অলঙ্কার তৈরি করেন। যানবাহনের টিকিট থেকে তৈরি করেন কানের দুল। গাড়ির ফাটা টায়ার থেকে তৈরি করেন বসার আসবাব। চান্দ্রেয়ী বলেন, 'এই পোশাকগুলি তো প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য নয়। কোন বিশেষ অনুষ্ঠান বা ফ্যাশান শো'তে এগুলি পরা যেতে পারে। তাছাড়া, এগুলি তৈরি করা অত্যন্ত সময় এবং শ্রমসাধ্য। নিজেদের হাতেই তৈরি করি। তাই ন্যূনতম দাম তিন হাজার টাকা রাখতে হয়েছে।'
Published in
Khobor Tobor