পারলে ঠেকা
অভিনেত্রী জয়া আহসান অভিনয় করছেন চোরাবালি ও পারলে ঠেকা নামের দুটি চলচ্চিত্রে। খুব শিগগিরই মুক্তি পাচ্ছে রেদওয়ান রনি পরিচালিত চোরাবালি। আর সামু রাই মারুফের পারলে ঠেকার কাজ চলছে এখনো। এই দুই চলচ্চিত্র নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়েছিল জয়া আহসানকে। সঙ্গে ছিলেন মাহফুজ রহমান
‘পারলে ঠেকা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন। যদি কেউ ঠেকাতে না পারে, তাহলে আপনি কী করবেন শেষমেশ?
কেউ ঠেকাতে পারবে না!
‘পারলে ঠেকা’ ছবির স্থিরচিত্রে আপনাকে দেখা যাচ্ছে ডাম্বেল হাতে নিয়ে শরীরচর্চা করতে। ব্যক্তিগত জীবনেও কি আপনি ডাম্বেল দিয়ে শরীরচর্চা করেন?
অবশ্যই! ছবিতে যে ডাম্বেল দেখা যাচ্ছে, তার চেয়ে অনেক ভারী ডাম্বেল আমি প্রতিদিন উঠাই। এ তো কিছুই না আমার কাছে!
ছবির কাহিনি ৩০১৩ সালের। সত্যি সত্যিই যদি ওই সময়ে চলে যান, তাহলে প্রথমেই কী করতে চাইবেন?
ওই সময়টা থেকে আবার বিশ শতকের ষাটের শেষ ও সত্তরের দশকের শুরুতে ফিরে যেতে চাইতাম। ওই সময়টা সত্যিই দুর্দান্ত ছিল! সেই সময় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল। এ ছাড়া সারা বিশ্বের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সময়টা ছিল স্বর্ণযুগ। শিল্প, সাহিত্য, সংগীত, নাট্যকলা—সব মাধ্যমেই ছিল অন্য রকম মাধুর্য।
ছবিটিতে আপনি দুটি গান করেছেন। শ্রোতারা যদি সেই গান শুনে মুগ্ধ হয় এবং বলে অ্যালবাম বের করতে, করবেন?
হ্যাঁ, দুটি গান করেছি—একটা ‘জঙ্গলের ডাক’ আরেকটির শিরোনাম ‘পারলে ঠেকা’। হেভিমেটাল আর রক ঘরানার গান। গান গাইতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। তবে না, অ্যালবাম করার কোনো ইচ্ছা নেই। কারণ, আমি তো সংগীতশিল্পী নই। ছবির চরিত্রটিকে আরও জীবন্ত করার জন্যই গান করেছি।
ছবিতে আপনাকে দেখা যাবে চোরের ভূমিকায়। এই অভিজ্ঞতা কেমন?
ছবিটিতে আমি চোরদের চুরি করা সম্পদ চুরি করি। অনেকটা রবিন হুডের মতো। নিঃসন্দেহে চরিত্রটি অন্য রকম। এতে অ্যাডভেঞ্চার আছে। আর ব্যক্তিগত জীবনে আমিও সব সময় অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসি।
চোরাবালিতে কে পড়ে গেল—আপনি না ইন্দ্রনীল?
আমাদের দুজনের কেউই না, চোরাবালিতে পড়েছেন পরিচালক রেদওয়ান রনি!
‘চোরাবালি’ ছবিটিতে আপনি একজন সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করছেন। সাংবাদিক হিসেবে ‘চোরাবালি’র নায়িকা জয়াকে যে প্রশ্নটি করতে চাইবেন?
এই মুহূর্তে মাথায় কোনো প্রশ্ন আসছে না।