মঙ্গল গ্রহে নারী
মঙ্গল গ্রহে তো এর মধ্যে মানুষ পাঠায়নি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে কখন ও কিভাবে রক্তিম গ্রহটির মাটিতে মানুষ অবতরণ করলো? নাকি ছবিটি কোনো এলিয়েন বা ভিনগ্রহী প্রাণীর? এ ধরনের বিভিন্ন প্রশ্ন ভিড় জমাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মনে। তারা ছবিটির নিজস্ব ব্যাখ্যাও দাঁড় করিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকারীরা বিশাল খড়ের গাদা থেকে ছোট্ট সুচ খুঁজে দেবেন অনায়াসেই। আবার তারা তিলকে তাল বানাতেও সমান পারদর্শী। নাসার এমনই দুটি ছবিতে তারা প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন।
একটি কাঁকড়া ও এক রমণী- মঙ্গলে এই দুটি প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই। এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি। প্রথমে তো নাসা মনে করলেন, লন্ডনের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত কোনো অপ্সরা। তবে এখন আর তাদের মনে দ্বিধার কোনো প্রশ্ন নেই। ভালোবাসার দেবী ভেনাস ও রমণীদের তো শুধু শুক্র (ভেনাস) গ্রহেই পাওয়া যাওয়ার কথা, মঙ্গলে নয়! যাই হোক। এই ছবি দুটি তুলেছিল লাল-গ্রহ মঙ্গলে পাড়ি জমানো নাসার মহাকাশযান কিউরিসিটি রোভার। মঙ্গলের বুকে অবতরণের পর রোভারের তোলা দুর্লভ সেই ছবিগুলো সারা বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল।
সেই বিস্ময়ের শেষ এখনো হচ্ছে না। কারণ নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানীদের চেয়েও দক্ষ হয়ে উঠেছেন বিশ্বজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীরা। তেমনই দুটি ছবি এখন ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, ওয়েইবোসহ বিশ্বের বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওয়েবসাইটের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে বেড়াচ্ছে। এই ছবি দুটি দেখে নেটিজেনরা মনে করছেন : ক. একটি কাঁকড়া : প্রথম ছবিটিতে মঙ্গল গ্রহের বিশাল বিশাল পাথর খণ্ডের মধ্যে একটি কাঁকড়ার আকৃতি খুঁজে পেয়েছেন ব্যবহারকারীরা। বলার বোধ হয় প্রয়োজন নেই যে, মঙ্গলে জীবের সন্ধান পাওয়ার খবরটি মুহূর্তে শেয়ারের মাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে বিশ্বের প্রতিটি কোণে।
খ. এক রমণী: এর চেয়েও বিচিত্র ব্যাপার হলো, নাসার আরেকটি ছবিতে এক নারীর অবয়ব দেখতে পেয়েছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ বলছেন, হুবহু নারীর শারীরিক গঠন তারা দেখতে পেয়েছেন, যার রয়েছে দুই বাহু, উন্নত বক্ষযুগল ও বাকি গঠন। কেউ কেউ তো আবার বলছেন, হয়তো কোনো নারীর প্রেতাত্মা হবে ছবিটি।