পর্নোগ্রাফির রাজধানী ভারত!
বিশ্বজুড়ে পর্নোগ্রাফি বা নীলছবি দেখার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। মোবাইল, ট্যাবের যুগে পর্নোগ্রাফি দেখার জন্য এখন আর নির্জনতা খুঁজতে হয় না। মুঠোফোনে চাইলেই রগরগে ভিডিও হাজির। আড়ালেই তৈরি হয়ে যায় নিষিদ্ধ নির্জনতা। জেগে উঠে পর্নোগ্রাফি দেখার ইচ্ছা। ভারতে এই প্রবনতা উদ্বেগজনক হারে দেখা দিয়েছে।
২০১২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। কর্নাটক বিধানসভার মধ্যেই মোবাইলে নীলছবি দেখায় মগ্ন ছিলেন তিন মন্ত্রী। এই খবর ফাঁস হতেই চারদিকে হইহই রব পড়ে যায়। আর এটিই এখন ভারতের বাস্তবতা। ইন্টারনেটের অবাধ বিচরণের সৌজন্যে পর্নোগ্রাফি এখন যেন হাতের মোয়া। এক তথ্যে জানা গেছে, গুগলে শুধু 'PORN' শব্দটি টাইপ করলেই ৮৬ কোটি রেজাল্ট শো করে। ইন্টারনেটের অফুরান ভাণ্ডারে শুধু পর্নোগ্রাফিই রয়েছে কমপক্ষে ২০ কোটি। সমীক্ষা বলছে, পুরো ভারতই এখন পর্নোগ্রাফিতে বুঁদ। এক পরিংখ্যানে দেখা গেছে, শুধু মোবাইলেই নীল ছবির দর্শক রয়েছে ৯০ লাখ। যা পুরো ইন্টারনেট ট্রাফিকের ৩০ শতাংশ। দেশের একটি বিশাল অংশ ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফির নিয়মিত কাস্টমার।
ভারতে সবচেয়ে ভিজিটেড একশোটি সাইটের মধ্যে তিনটি হল পর্ন ওয়েবসাইট। এর ফলস্বরূপ পর্নোগ্রাফি দেখায় বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। গুগলের ওই সমীক্ষায় এক নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান। স্মার্টফোন, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট আর হাই স্পিড ডাটা সার্ভিসগুলো পর্ন ভিডিও আদানপ্রদানের বিষয়টিকে সহজ করেছে। ফলে অনায়াসে স্কুল ছাত্র থেকে শুরু করে সিনিয়র কর্পোরেট অফিসার পর্যন্ত সবার কাছে অনায়াসে রগরগে ভিডিও পৌছে যাচ্ছে। গুগলের সমীক্ষা বলছে, ২০১০ সাল থেকে ২০১২- এই দুবছরে শুধু ভারতেই 'পর্ন' শব্দটির সার্চ ভলিউম ইনডেক্স বেড়েছে দ্বিগুণ। সারা বিশ্বে যে দশটি দেশে সবচেয়ে বেশি পর্ন ভিডিও দেখা হয়, তার মধ্যে সাতটি শহরই ভারতের।