0 awesome comments!
প্রেসিডেন্টের 'আহ্বানে' নগ্ন হয়ে অফিস!
বেলারুশের মানুষ অত্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ। দেশের প্রেসিডেন্টের যে কোনও নির্দেশ মানতে তারা সদা-তত্পর। সম্প্রতি তার নির্দেশ মেনে কর্মক্ষেত্রে বিনা পোশাকে হাজিরা দেওয়ার হিড়িক শুরু হয়েছে। উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট, ট্যাটুশিল্পী থেকে শপিং মলের কর্মী- সকলেই দ্বিধাহীন ভাবে নগ্ন হয়ে কাজ করছেন। দেখা যাচ্ছে ২০০ কর্মীর একটা অফিস, সেখানে বস থেকে পিয়ন সবাই বস্ত্রহীন। কেউ কাউকে দেখে হাসছেও না।
কারও মধ্যে কোন দ্বিধাবোধ নেই। এ যেন নগ্নতার এক জমকালো উৎসব! সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে বিশ্বকেও জানান দিচ্ছে যে, তারা প্রেসিডেন্টের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন! অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে গত সপ্তাহে মিন্স্ক শহরের এক সভায় দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার ল্যুকাশেঙ্কো।
কিন্তু ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ ফস্কে তিনি বলে ফেলেন, 'পোশাক ছেড়ে কাজ করে যান যতক্ষণ না ঘামে জবজবে হচ্ছেন।' আর এতেই কাজ হয়ে যায়! যা বোঝার বুঝে নেয় বেলারুশবাসী। প্রেসিডেন্টের নির্দেশ মেনে একে একে গায়ের কাপড় ছাড়তে শুরু করে বেলারুশের নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু-বৃদ্ধ।
তাদের আচরণ দেখে মনে হয় এমন একটা নির্দেশের অপেক্ষায় তারা ছিলেন দীর্ঘদিন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ব্যাখ্যা, প্রেসিডেন্ট আসলে দেশবাসীকে কঠোর পরিশ্রম করার জন্য উত্সাহ দিতে চেয়েছিলেন। তিনি বলতে চেয়েছেন, খালি গায়েও কাজ করতে করতে শরীরের ঘাম বের হয় এমন পরিশ্রম করো। কিন্তু জনগণ সেই বিশ্লেষণ মানতে নারাজ। দেশনেতার বাণী শিরোধার্য করে তারা কাপড় ছেড়ে ঘরের বাইরে নেমে এসেছেন। এটাই তাদের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য! বেলারুশের অসংখ্য বিবস্ত্র পুরুষ-নারীর মিছিলের ছবিতে ভরে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। দেখা যাচ্ছে, ল্যাপটপ-অ্যান্ড্রয়েড ফোন-কাগজ-কলম নিয়ে স্বচ্ছন্দে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নগ্ন হয়ে কাজ করে চলেছেন অফিসকর্মীরা।
জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে #раздеватьсяиработать, অনুবাদ করলে যার অর্থ দাঁড়ায় #নগ্নহয়েকাজকরুন। শিক্ষার্থীরা গায়ের বস্ত্র বাড়িতে রেখেই যাচ্ছেন স্কুল-কলেজে। লাইব্রেরিতে বসে 'হুলস্থুল' পড়াশুনা করছেন নগ্ন হয়ে। বাড়িতে বসে পড়াশুনার সময়ও গায়ে রাখছেন না কোন কাপড়। হঠাৎ করে বাইরের দুনিয়া থেকে কেউ বেলারুশে পা দিলে কিছুটা বিব্রত হলে তা অস্বাভাবিক হবে না। হয়ত কোন রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে গেলেন, দেখলেন একজন বিবস্ত্র ওয়েটার আপনার সামনে খাবারের ট্রে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, অবাক হবার কিছু নেই।
শপিং মলে কেনাকাটা করতে গেলেন, দেখলেন একাধিক নারী-পুরুষ বিক্রয়কর্মী বিনয়ের সঙ্গে জানতে চাইছে আপনার কী লাগবে, অবাক হবে না। প্রেসিডেন্টের আহ্বানে যেন আদিম দুনিয়ায় ফিরে গেছে বেলারুশবাসী! ইউজারদের কেউ কেউ প্রেসিডেন্ট ল্যুকাশেঙ্কোকে আদর করে 'ড্যাডি' নামেও সম্বোধন করছেন। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ক্যাপশনে হামেশাই লেখা হচ্ছে, 'ড্যাডির আদেশ মাথা পেতে নিলাম' অথবা 'ড্যাডি বলেন, আমরা করে দেখাই'। সত্যি, এমন 'পিতৃভক্ত' সন্তান এ যুগে বিরল!
কারও মধ্যে কোন দ্বিধাবোধ নেই। এ যেন নগ্নতার এক জমকালো উৎসব! সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে বিশ্বকেও জানান দিচ্ছে যে, তারা প্রেসিডেন্টের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন! অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে গত সপ্তাহে মিন্স্ক শহরের এক সভায় দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার ল্যুকাশেঙ্কো।
কিন্তু ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ ফস্কে তিনি বলে ফেলেন, 'পোশাক ছেড়ে কাজ করে যান যতক্ষণ না ঘামে জবজবে হচ্ছেন।' আর এতেই কাজ হয়ে যায়! যা বোঝার বুঝে নেয় বেলারুশবাসী। প্রেসিডেন্টের নির্দেশ মেনে একে একে গায়ের কাপড় ছাড়তে শুরু করে বেলারুশের নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু-বৃদ্ধ।
তাদের আচরণ দেখে মনে হয় এমন একটা নির্দেশের অপেক্ষায় তারা ছিলেন দীর্ঘদিন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ব্যাখ্যা, প্রেসিডেন্ট আসলে দেশবাসীকে কঠোর পরিশ্রম করার জন্য উত্সাহ দিতে চেয়েছিলেন। তিনি বলতে চেয়েছেন, খালি গায়েও কাজ করতে করতে শরীরের ঘাম বের হয় এমন পরিশ্রম করো। কিন্তু জনগণ সেই বিশ্লেষণ মানতে নারাজ। দেশনেতার বাণী শিরোধার্য করে তারা কাপড় ছেড়ে ঘরের বাইরে নেমে এসেছেন। এটাই তাদের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য! বেলারুশের অসংখ্য বিবস্ত্র পুরুষ-নারীর মিছিলের ছবিতে ভরে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। দেখা যাচ্ছে, ল্যাপটপ-অ্যান্ড্রয়েড ফোন-কাগজ-কলম নিয়ে স্বচ্ছন্দে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নগ্ন হয়ে কাজ করে চলেছেন অফিসকর্মীরা।
জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে #раздеватьсяиработать, অনুবাদ করলে যার অর্থ দাঁড়ায় #নগ্নহয়েকাজকরুন। শিক্ষার্থীরা গায়ের বস্ত্র বাড়িতে রেখেই যাচ্ছেন স্কুল-কলেজে। লাইব্রেরিতে বসে 'হুলস্থুল' পড়াশুনা করছেন নগ্ন হয়ে। বাড়িতে বসে পড়াশুনার সময়ও গায়ে রাখছেন না কোন কাপড়। হঠাৎ করে বাইরের দুনিয়া থেকে কেউ বেলারুশে পা দিলে কিছুটা বিব্রত হলে তা অস্বাভাবিক হবে না। হয়ত কোন রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে গেলেন, দেখলেন একজন বিবস্ত্র ওয়েটার আপনার সামনে খাবারের ট্রে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, অবাক হবার কিছু নেই।
শপিং মলে কেনাকাটা করতে গেলেন, দেখলেন একাধিক নারী-পুরুষ বিক্রয়কর্মী বিনয়ের সঙ্গে জানতে চাইছে আপনার কী লাগবে, অবাক হবে না। প্রেসিডেন্টের আহ্বানে যেন আদিম দুনিয়ায় ফিরে গেছে বেলারুশবাসী! ইউজারদের কেউ কেউ প্রেসিডেন্ট ল্যুকাশেঙ্কোকে আদর করে 'ড্যাডি' নামেও সম্বোধন করছেন। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ক্যাপশনে হামেশাই লেখা হচ্ছে, 'ড্যাডির আদেশ মাথা পেতে নিলাম' অথবা 'ড্যাডি বলেন, আমরা করে দেখাই'। সত্যি, এমন 'পিতৃভক্ত' সন্তান এ যুগে বিরল!
Published in
Khobor Tobor