পর্নো আসক্ত অপ্রাপ্ত বয়স্করা

Rate this item
(2 votes)
অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালকরা পর্নো ছবিতে মারাত্মকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই মেয়েরাও। তারাও পর্নো ছবিতে আসক্ত। তবে ছেলেদের তুলনায় কিছুটা কম। এক জরিপে দেখা গেছে, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেদের শতকরা ৬৬ ভাগ সপ্তাহে ৭ ঘন্টা পর্নো ছবি দেখে। এক্ষেত্রে মেয়েদের হার শতকরা ৩০ ভাগ। সপ্তাহে তারা গড়ে ৫ ঘন্টা পর্নো ছবি দেখে। রেসকিউ নামের একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান। এর প্রধান নির্বাহী অভিষেক ক্লিফোর্ড ১৮৩টি কলেজের সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থীর ওপর এ জরিপ পরিচালনা করেন। এ সময়ে প্রতিটি কলেজে কিছু শিক্ষার্থীর একটি করে গ্রুপ করে তাদের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়। সেসব প্রশ্নের উত্তরের উপর ভিত্তি করে তিনি ওই তথ্য দিয়েছেন।

এ জরিপ করা হয়েছে ভারতের বিদার, গাড়াগ, মহীসুর, চামারাজানাগার, মান্দ্যি, ধারওয়ার্ড, বেলাগাভি, ব্যাঙ্গালুরুতে। এখন চলছে ম্যাঙ্গালুরুতে। জরিপে দেখা গেছে, শতকরা ৩০ ভাগ ছেলে ভয়াবহ, উন্মত্ত পর্নো ছবি দেখে। এতে পাওয়া গেছে, সপ্তাহে গড়ে ১৯টি ধর্ষণ ঘটে। প্রতি বছরে ধর্ষণ প্রত্যক্ষ করে ১৭ লাখ নতুন শিক্ষার্থী তাদের উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার সময়ে। শতকরা ৮৪ ভাগ শিক্ষার্থী বলেছে, তারা ক্রমশ পর্নো ছবিতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। শতকরা ৮৩ ভাগ শিক্ষার্থী বলেছে, পর্নো ছবির কারণে যৌনতাড়িত কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। শতকরা ৭৪ ভাগ শিক্ষার্থী বলেছে, এ কারণে তারা নিষিদ্ধপল্লীতে যেতে বাধ্য হচ্ছে। অভিষেক বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন টিনেজ বয়সে তখন তাদেরকে পর্নো ছবি দেখার ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করা উচিত।

জরিপে দেখা গেছে, শতকরা ৩৭ ভাগ মেয়ে বলেছে পর্নো ছবি ক্ষতিকর নয়। বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের কারণে কেউ যদি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে তাহলে গর্ভপাত একটি যথার্থ প্রক্রিয়া। অভিষেক বলেন, সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ইন্টারনেটে কি দেখছে সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত পিতামাতাকে। পর্নো সাইট ব্লক করে রাখার জন্য তাদের উচিত প্যারেন্টাল সফটওয়ার ব্যবহার করা। এক কলেজের অধ্যক্ষ বলেছেন, আমরা ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের কথা বলতে দিই না। তবে জরিপে দেখা গেছে শতকরা ৫০ ভাগ ছাত্রী তার বয়ফ্রেন্ডের শয্যাসঙ্গী হয়েছে।
0 awesome comments!
Scroll to Top