শাশুড়িকে বিক্রি করতে বিজ্ঞাপন পুত্রবধূর
বয়স ৬০এর কাছাকাছি। কণ্ঠস্বর মিষ্টি। কিন্তু, শুনলে প্রতিবেশীদের মৃত্যুও হতে পারে। রান্নার অত্যন্ত ভালো সমালোচক। কিন্তু, কেউ তাঁকে রান্নায় হারাতে পারবেন না। দারুন পরামর্শ দেন। কিন্তু, আপনি নিজেও এর থেকে ভালো কাজ করতে পারেন। ট্যাগলাইনে লেখা “শাশুড়ি বিক্রি আছে। ইন গুড কন্ডিশন।” একটি বইয়ের বিনিময়েই এক্সচেঞ্জ করা যাবে। একটি অনলাইন সেলিং সাইটে এমনই বিজ্ঞাপনকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গেল। বিজ্ঞাপনদাতা তারই ছেলের বউ।
যদিও বিজ্ঞাপনটি সংস্থার কর্মীদের নজরে আসতেই ১০ মিনিটের মধ্যেই সরিয়ে নেয়া হয়। সংস্থার কর্তৃপক্ষরা জানিয়েছেন, তাঁদের কর্মীরা সবসময় পোস্টগুলির উপর নজর রাখেন। কোনও কুরুচিকর, অসম্মানজনক বিজ্ঞাপন তাঁদের চোখে পড়লে তাড়াতাড়ি সরিয়ে ফেলা হয়। অবশ্য অনলাইন সেলিং সাইটগুলিতে এরকম বিজ্ঞাপন নতুন কিছু নয়। বছরখানেক আগেও একটি জনপ্রিয় অনলাইন সেলিং সাইটে স্বামী বিক্রির বিজ্ঞাপন চোখে পড়েছিল অনেকেরই।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের দাবি, “বর্তমান সমাজে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ, বৌমার সম্পর্কগুলি ক্রমশই জটিল আকার ধারণ করছে। যার জন্য বেড়েই চলেছে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাও। হতাশা, লোভ, উচ্চাকাঙ্খার বেড়াজালে নিজেরাই জড়িয়ে পড়ছি আমরা। আর তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটছে এই ধরনের ঘটনার মাধ্যমে।”
অন্যদিকে, আইন বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনলাইন নেটওয়ার্ক দুনিয়ায় এই ধরনের ঘটনা সাইবার অপরাধের মধ্যেই পড়ে। এক্ষেত্রে ওই গৃহবধূর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হলে, তাঁকে জরিমানা ও জেল দুটোই হতে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনও খবর অবশ্য পাওয়া যায়নি।