মৃত্যু ডেকে আনছে ঘড়ি!

Rate this item
(3 votes)

১৮২ কোটি টাকার ঘড়ি ডেকে আনছে মৃত্যু। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনই ঘড়ির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে কাতারে। ঘড়িটির নাম ‘দ্য প্যাটিক’ হলেও ঘটনার জেরে ঘড়িটির নাম হয়ে গিয়েছে ‘দ্য গ্রেভস’ বা কবরের ঘড়ি। ব্রিটেনের ‘মিরর’ সূত্রে খবর, ঘড়িটি সম্পর্কে জনশ্রুতি রয়েছে যে এই ঘড়িটি তার মালিকের জীবনে মৃত্যু ডেকে আনে। ১৯২৫ সালে এই ঘড়িটি তৈরি করেন প্যাটিক ফিলিপ। ঘড়িটিতে রয়েছে ক্যালেন্ডার, পূর্ণিমা ও আমাবস্যার হিসাব রাখার বিশেষ যন্ত্র এবং সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। এছাড়া ঘড়িটিতে রয়েছে আরো ২৪টি অত্যাধুনিক ফিচার যা একমাত্র অনেক দামী ঘড়িতে দেখা যায়। ঘড়িটির কাঁটা থেকে শুরু করে সব যন্ত্রপাতিই নিরেট সোনার।

অভিশপ্ত এই ঘড়িটির ইতিহাস বলছে, এর প্রথম মালিক ছিলেন হেনরি গ্রেভস। তিনি ঘড়িটি কেনার কয়েকমাসের মাথায় মারা যান। এরপর ঘড়িটি আসে তার এক বন্ধুর কাছে। তিনিও কয়েক মাসের মধ্যে মর্মান্তিক এক গাড়ি দুর্ঘটনার জেরে মারা যান। এরপর ওই বন্ধুর ছেলের হাতে আসে ওই ঘড়িটি। ঘড়িটি পেয়ে তিনিও অত্যন্ত আন্দনিত হন। কিন্তু তার সেই সুখও বেশিদিন থাকেনি। ঘড়িটি পাওয়ার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে তিনিও আশ্চর্যজনকভাবে মারা যান।

এরপর কেটে গিয়েছে বহু সময়। দ্রুত সময় ও দিন পরিবর্তনের যুগে এই ঘড়িটির ভয়াবহতা প্রায় ভুলেই যেতে বসেছিলেন সবাই। কিন্তু সম্প্রতি ঘড়িটি কেনেন কাতার রাজ পরিবারের এক বিশিষ্ট ব্যক্তি বিন মহম্মদ আলথানি। দেশে তিনি একজন আর্টের সমঝদার ও গুণগ্রাহক বলেই পরিচিত। তাই লোভনীয় এই ঘড়িটি কেনা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেননি তিনি। ঝোঁকের বশবর্তী হয়ে কিনে বসেন ঘড়িটি।

ইন্টারনেটের ফাস্ট লাইফে ঘড়িটির ভয়াবহতার কথা সবাই ভুলে গেলেও ঘড়িটি কিন্তু মোটেই নিজের ইতিহাস ভোলেনি। সেটির প্রমাণও মিলল হাতেনাতে। ঘড়িটি কেনার মাত্র কয়েকদিন পরেই মারা গেলেন বিন মহম্মদ আলথানি। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করে আবার একবার ‘দ্য গ্রেভস-’এর মালিকের স্থান হল সেই গ্রেভ'এ অর্থাৎ কবরের নিরেট অন্ধকারে।

0 awesome comments!
Scroll to Top