শিক্ষিকা যখন 'অন্তর্বাস মডেল'

Rate this item
(2 votes)
মাত্র এক সপ্তাহেই চাকরি খোয়ালেন সহ-শিক্ষিকা জেম্মা লেয়ার্ড। তাঁর বিরুদ্ধে অপসংস্কৃতির অভিযোগ তুলেছিলেন অভিভাবকরা। তার জেরেই চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হল। সাতদিনেই স্কুল কর্তৃপক্ষের নজর কেড়েছিলেন বছর একুশের জেম্মা লেয়ার্ড। বলা হয়েছিল, শিশুদের সঙ্গে মেলামেশায় তাঁর সহজাত দক্ষতা রয়েছে। এই কারণে ডারহ্যাম কাউন্টির ব্লোমফন্টেইন প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রদের কাছে বাড়ছিল জনপ্রিয়তা।

কিন্তু বাধ সাধলেন অভিভাবকদের একাংশ। এক অভিভাবক সোশ্যাল মিডিয়ায় হঠাৎ জেম্মার বেশ কিছু খোলামেলা ছবি আবিষ্কার করেন। তার সুবাদে এই খবর অভিভাবক মহলে রটে যায়। ক্ষুব্ধ বাবা-মায়েরা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তরুণী সহ-শিক্ষিকার নামে নালিশ জানান। বিষয়টি অনুসন্ধান করে জেম্মাকে ডেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষিকা লরা লিডেল।

লিডেলের বক্তব্য, 'শিক্ষিকা এবং তাঁদের সহকারীদের নির্দিষ্ট কিছু আচরণবিধি মেনে চলতে হয়। তার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারও পড়ে। ছেলেমেয়েদের সামনে নিজেদের আদর্শ ব্যক্তিত্ব হিসেবে তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য।' 'প্রধান শিক্ষিকার কথা শুনে নিজেকে যৌনকর্মী বলে মনে হচ্ছে', চরম বিরক্তির সঙ্গে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন হতাশ জেম্মা। তিনি জানিয়েছেন, 'আমার জন্য নাকি স্কুলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে- এই ধারণা অত্যন্ত হাস্যকর।' স্কুলের চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই লঁজারি মডেল হিসেবে কাজ শুরু করেন জেম্মা।

বিখ্যাত মডেলিং সংস্থা লেক্সি ফ্যাশনস-এর সঙ্গে চুক্তির সুবাদে বেশ কিছু অন্তর্বাসের বিজ্ঞাপনে তাঁকে ব্যবহার করা হয়। মডেলিং দুনিয়ায় নিজের প্রোফাইল উজ্জ্বল করতে সেই সমস্ত ছবি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে লেক্সি ফ্যাশনস। তারই কিছু নজরে পড়ে ওই অভিভাবকের। চাকরি হারানোর পর স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন জেম্মা। তাঁর দাবি, চাকরিতে ঢোকার সময় নিজের মডেলিং কেরিয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছিলেন। সেই সময় আপত্তি না তুলে পরবর্তীকালে অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগে অনৈতিক ভাবে তাঁকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়।
0 awesome comments!

খবর টবর

Scroll to Top