সত্যিকারের পুরুষ কখনই ধর্ষক নয় (ভিডিও)
একবার গিয়ে মেযেদেরকে জিজ্ঞাসা করুন পরপুরুষ সম্বন্ধে তাঁদের ধারণাটা কী। হলফ করে বলা যায় তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ মেয়েই নেতিবাচক উত্তর দেবে। পুরুষ কী ও কয় প্রকার ? সোশাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন মাধ্যমে উঠে আসা বক্তব্যকে একজোট করে লিখতে গেলে উত্তর অনেকটা এরকম দাঁড়ায়, পুরুষ একটি হিংস্র পশু। যাঁরা মেয়েদের মুখের দিকে কম, অন্যসব গোপন দিকেই তাকাতে বেশি পছন্দ করে। কেউ কেউ তো আবার বলেই ফেলেন পুরুষমাত্রই ধর্ষক।
পুরুষদের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিকর। কিন্তু, ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর হিসাব দেখলেই বোঝা যাবে দেশে মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতনের প্রকৃত চিত্রটা। অফিসের সহকর্মী থেকে শুরু করে বড় ভাই , কারও সঙ্গেই নিরাপদ নয় মেয়েরা। ফলে পুরুষ অর্থেই পশু, যতই এই ভাবনা স্টিরিওটাইপ হোক, মেয়েরা তা বদলানোর কোনও কারণ খুঁজে পায় না।
এই পরিস্থিতিতে অনেকটা “ইয়ে সোচ হি তো বদলনা হ্যায়”-এর মতো করে সাধারণ পুরুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে একটি ইউটিউব চ্যানেল। “হোয়াট গাইজ় শুড ডু টু ড্রাঙ্ক গার্লস” শীর্ষক ভিডিওতে তারা দেখিয়েছে পুরুষমাত্রই মহিলা শরীরের ভক্ষক নয়, রক্ষকের ভূমিকাও নিয়ে থাকে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাতের জেরে বিপর্যস্ত এক তরুণী তাঁর পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে কোনও এক বন্ধ দরজার আড়ালে। একের পর এক বিয়ার খাচ্ছেন তরুণী আর নিজের হতাশার কথা জানাচ্ছেন। বন্ধুটি তাঁকে মনে শক্তি জোগানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিছানায় গা এলিয়ে কথা বলতে বলতে তরুণী একসময় ঘুমিয়ে পড়েন। এরপরই শুরু হয় আসল কাহিনি।
বিছানা ছেড়ে উঠে আসেন ওই যুবক। অবিন্যস্ত অবস্থায় ঘুমিয়ে থাকা বন্ধুর গায়ে চাদর টেনে দেন। মাথার নীচে বালিশ দিয়ে বন্ধুকে আরামে ঘুমোতে সাহায্য করেন। এরপর ক্যামেরার সামনে এসে তিনি বলেন, রিয়েল মেন ডোন্ট রেপ।
হয়ত এই ভিডিও দেখার পর মহিলাদের মনে পুরুষ সম্বন্ধে নেতিবাচক মনোভাবের বদল হবে না। কিন্তু, বয় নেক্সট ডোর বা বন্ধুরূপী পুরুষ যে সবসময় সুযোগসন্ধানী হবে এমন ধারণা যে ভুল তার অন্যতম উদাহরণ এই ভিডিওটি।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন