0 awesome comments!
গুরু, তোমায় সালাম
‘একে একে চলিয়া যাবে সবাই, তুমিও যাবে আমিও যাব, মিছে ভাব তাই’—নিজের গাওয়া গানের এই লাইনটির মতোই চলে গেলেন আজম খান। তাঁর মৃত্যুর খবরে গতকাল রোববার স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো সংগীতাঙ্গন। অনেকেই ছুটে যান সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। এ সময় সবার চোখ ছিল অশ্রুসিক্ত। আজম খানকে কাছ থেকে দেখেছেন অনেকেই। আজম খান তাঁর গান দিয়ে প্রভাবিত করেছেন এ দেশের শিল্পী ও তরুণসমাজকে। এই অমর শিল্পীকে স্মরণ করলেন তাঁর কাছের কয়েকজন।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ
আজম খান মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালে সাংস্কৃতিক জগতে একজন বিস্ময়কর ব্যক্তি। তিনি অনেক বড় মাপের একজন মানুষ। মুক্তিযুদ্ধের পর মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে যে ঘাটতি ছিল, সেই বেদনা ও ক্ষোভ তিনি প্রকাশ করেছিলেন গানে গানে। নতুন ধরনের সেসব গান তরুণদের ওই সময় দারুণভাবে উজ্জীবিত করেছিল।
ফেরদৌস ওয়াহিদ
কয়েক দিনের ব্যাবধানে দুজন বন্ধুকে হারালাম। পিলু মমতাজ গেল কয়েক দিন আগে, আর এবার আজম খান। ফিরোজ সাঁই তো চলে গেছেন আরও আগে। আমি বন্ধুহীন হয়ে পড়েছি।
ফকির আলমগীর
আজম খান বাংলা পপ ও রক গানের মুকুটহীন সম্রাট। তার মৃত্যুতে চারদিকে শূন্যতা অনুভব করছি। গত ২৫ মে স্কয়ার হাসপাতালের ১৩০৭ নম্বর কেবিনে শেষ কথা হয়েছিল তার সঙ্গে। ও তখন বলেছিল, ‘দোস্ত, বয়, পেঁপে খা। ফেরদৌস ওয়াহিদরে ফোনে ধর।’ এরপর ফেরদৌসের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে। আর কখনো রেললাইন ধরে আমাদের হাঁটা হবে না, ওর বাসার পাশের পেট্রলপাম্পে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া হবে না, সুইমিং পুলে সাঁতার কাটা হবে না। আর কিছু বলতে পারব না।...
হানিফ সংকেত
মানুষ চলে যাবে, এটা চির সত্য। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের মৃত্যু মেনে নেওয়া বড় কষ্টের। আজম ভাই অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি, এটা ভেবেই একটু শান্তি পাচ্ছি। দোয়া করছি, তাঁর আত্মা যেন শান্তি পায়।
তপন চৌধুরী
এত ভালো, নির্লোভ, সহজ-সরল মানুষ আজ একেবারেই বিরল। সত্তর ও আশির দশকের এমন কোনো ব্যান্ড এবং শিল্পী পাওয়া যাবে না, যাঁরা আজম খানের গান করেননি। বাংলা রক গানের জগতে তাঁকে সবাই ‘গুরু’ ডাকেন। গুরুর মতোই ছিলেন তিনি। গুরু, তোমায় সালাম।
কুমার বিশ্বজিৎ
আধুনিক বাংলা গানের একজন দিকপালকে হারালাম। মানুষকে আকর্ষণ করার প্রবল ক্ষমতা ছিল তাঁর মধ্যে। কিন্তু তিনি ছিলেন অন্তর্মুখী। জীবনে চাওয়া-পাওয়া বলতে কিছুই ছিল না।
আইয়ুব বাচ্চু
আজম খান পুরো ব্যাপারটাই আমার কাছে এখন স্মৃতি। আমি জানি না, বাংলাদেশে আজম খানের মতো শিল্পীর আর জন্ম হবে কি না। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, গুরু তত দিন বেঁচে থাকবেন।
নকিব খান
খুব খারাপ লাগছে। দেশের জন্য, বাংলা রক ও পপ গানের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তিনি দুটি জিনিস রেখে গেছেন—স্বাধীন দেশ ও মানচিত্র আর অন্যটি বাংলা রক গান। একসময় আমাদের ব্যান্ড মিউজিক ছিল বসার ঘরে। সেটাকে আজম খানই নিয়ে আসেন সবার সামনে। জনপ্রিয় করে তোলেন এই ধারাকে।
হামিন আহমেদ
আজম খানের গান প্রথম শুনেছিলাম ১৯৭৩ সালে, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। আজম খান গোলাপি রঙের পাঞ্জাবি আর জিনসের প্যান্ট পরেছিলেন। সেই প্রথম তাঁর কণ্ঠে বাংলা রক গান শুনেছিলাম। বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এখন যে বাংলা রক গান হচ্ছে, তার যাত্রা হয়েছিল আজম খানের হাত ধরে। সেদিনের সেই ঝাঁকড়া চুলের লম্বা দেহের মানুষটির কথা খুব মনে পড়ছে।
শাফিন আহমেদ
খুবই দুঃখজনক। আজম খান বাংলা রক গানের পথিকৃৎ। ভিন্ন ধরনের কথা, সুর আর পরিবেশনা দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ
আজম খান মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালে সাংস্কৃতিক জগতে একজন বিস্ময়কর ব্যক্তি। তিনি অনেক বড় মাপের একজন মানুষ। মুক্তিযুদ্ধের পর মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে যে ঘাটতি ছিল, সেই বেদনা ও ক্ষোভ তিনি প্রকাশ করেছিলেন গানে গানে। নতুন ধরনের সেসব গান তরুণদের ওই সময় দারুণভাবে উজ্জীবিত করেছিল।
ফেরদৌস ওয়াহিদ
কয়েক দিনের ব্যাবধানে দুজন বন্ধুকে হারালাম। পিলু মমতাজ গেল কয়েক দিন আগে, আর এবার আজম খান। ফিরোজ সাঁই তো চলে গেছেন আরও আগে। আমি বন্ধুহীন হয়ে পড়েছি।
ফকির আলমগীর
আজম খান বাংলা পপ ও রক গানের মুকুটহীন সম্রাট। তার মৃত্যুতে চারদিকে শূন্যতা অনুভব করছি। গত ২৫ মে স্কয়ার হাসপাতালের ১৩০৭ নম্বর কেবিনে শেষ কথা হয়েছিল তার সঙ্গে। ও তখন বলেছিল, ‘দোস্ত, বয়, পেঁপে খা। ফেরদৌস ওয়াহিদরে ফোনে ধর।’ এরপর ফেরদৌসের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে। আর কখনো রেললাইন ধরে আমাদের হাঁটা হবে না, ওর বাসার পাশের পেট্রলপাম্পে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া হবে না, সুইমিং পুলে সাঁতার কাটা হবে না। আর কিছু বলতে পারব না।...
হানিফ সংকেত
মানুষ চলে যাবে, এটা চির সত্য। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের মৃত্যু মেনে নেওয়া বড় কষ্টের। আজম ভাই অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি, এটা ভেবেই একটু শান্তি পাচ্ছি। দোয়া করছি, তাঁর আত্মা যেন শান্তি পায়।
তপন চৌধুরী
এত ভালো, নির্লোভ, সহজ-সরল মানুষ আজ একেবারেই বিরল। সত্তর ও আশির দশকের এমন কোনো ব্যান্ড এবং শিল্পী পাওয়া যাবে না, যাঁরা আজম খানের গান করেননি। বাংলা রক গানের জগতে তাঁকে সবাই ‘গুরু’ ডাকেন। গুরুর মতোই ছিলেন তিনি। গুরু, তোমায় সালাম।
কুমার বিশ্বজিৎ
আধুনিক বাংলা গানের একজন দিকপালকে হারালাম। মানুষকে আকর্ষণ করার প্রবল ক্ষমতা ছিল তাঁর মধ্যে। কিন্তু তিনি ছিলেন অন্তর্মুখী। জীবনে চাওয়া-পাওয়া বলতে কিছুই ছিল না।
আইয়ুব বাচ্চু
আজম খান পুরো ব্যাপারটাই আমার কাছে এখন স্মৃতি। আমি জানি না, বাংলাদেশে আজম খানের মতো শিল্পীর আর জন্ম হবে কি না। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, গুরু তত দিন বেঁচে থাকবেন।
নকিব খান
খুব খারাপ লাগছে। দেশের জন্য, বাংলা রক ও পপ গানের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তিনি দুটি জিনিস রেখে গেছেন—স্বাধীন দেশ ও মানচিত্র আর অন্যটি বাংলা রক গান। একসময় আমাদের ব্যান্ড মিউজিক ছিল বসার ঘরে। সেটাকে আজম খানই নিয়ে আসেন সবার সামনে। জনপ্রিয় করে তোলেন এই ধারাকে।
হামিন আহমেদ
আজম খানের গান প্রথম শুনেছিলাম ১৯৭৩ সালে, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। আজম খান গোলাপি রঙের পাঞ্জাবি আর জিনসের প্যান্ট পরেছিলেন। সেই প্রথম তাঁর কণ্ঠে বাংলা রক গান শুনেছিলাম। বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এখন যে বাংলা রক গান হচ্ছে, তার যাত্রা হয়েছিল আজম খানের হাত ধরে। সেদিনের সেই ঝাঁকড়া চুলের লম্বা দেহের মানুষটির কথা খুব মনে পড়ছে।
শাফিন আহমেদ
খুবই দুঃখজনক। আজম খান বাংলা রক গানের পথিকৃৎ। ভিন্ন ধরনের কথা, সুর আর পরিবেশনা দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি।
Published in
Banglatainment