শরীরের আব্রু রক্ষায় চাকরি খোয়লো এক তরুণী
ক্যামেরার সামনে শুধুমাত্র বিকিনি পরে হাজির হতে রাজি হননি তিনি। টি-শার্টে শরীরের আব্রু রক্ষা করার 'অপরাধে' শেষেমেষ চাকরি খোয়াতে হল আমেরিকার এক নারী বার কর্মীকে। অন্যদিকে, মালিককে খুশি করতে পেরে কৃত্রিম স্তন উপহার হিসেবে পেলেন তাঁরই সহকর্মী। টিভি শো-তে এই ঘটনা দেখে বেদম চটেছেন দর্শকরা।
জনপ্রিয় মার্কিন নৈশ টিভি শো 'আন্ডারকভার বস'। রবিবার সেখানে দেখা গেছে জনপ্রিয় রেস্তোরা ‘বিকিনিস স্পোর্টস বার অ্যান্ড গ্রিল’-এর সিইও ডাউ গালারকে। এই রেস্তোরাঁর নিয়ম অনুযায়ী, পরিচারিকার দেহের উর্দ্ধাংশ ঢাকা থাকে শুধুমাত্র বক্ষ বন্ধনিতে, নিম্নাংশে থাকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত জিনস এবং পায়ে একজোড়া কাউবয় লেদার বুটস। 'বিকিনিস স্পোর্টস বার অ্যান্ড গ্রিল'-এর শাখা রয়েছে আমেরিকার টেক্সাস, ওকলাহোমা ও উত্তর ক্যারোলিনা শহরে।
টিভি শো-এর বিধি অনুসারে ছদ্মবেশ ধারণ করে নিজের সংস্থার কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে যান মালিক অথবা উচ্চপদস্থ কর্তারা। অনুষ্ঠানের শর্ত মেনে রবিবার নিজের রেস্তোরাঁয় আচমকা হাজির হন ছদ্মবেশী গালার। ক্যামেরার সামনে সংস্থার গুণগান গাইতে গিয়ে তিনি জানান, 'এখানে খাদ্য, মদ, খেলাধুলো ও যৌনতাই বৈশিষ্ট।'। কিন্তু শ্যুটিংয়ে ওই সরাইখানায় সদ্য বহাল পরিচারিকা জেসিকা টিভি ক্যামেরার সামনে বিকিনি পরে উপস্থিত হতে রাজি হননি। সেই কারণে তাঁর উপর প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হন সিইও গালার। সেই মুহূর্তে চাকরি থেকে ওই তরুণীকে তিনি বরখাস্ত করেন। বসের যুক্তি খুব পরিষ্কার। তাঁর বক্তব্য, এই ধরনের রেস্তোরাঁয় যে রকম পোশাক পরে থাকার কথা, তা মান্য করেননি ওই তরুণী। শর্ত ভঙ্গ করার জন্য চাকরি তো যাবেই!
অন্যদিকে, অতীতে চার বার চাকরি খুইয়েও রেস্তোরাঁতে দিব্যি মানিয়ে নিয়েছেন ২৩ বছরের গ্রেসি। তাঁর হাশিখুশি ব্যবহার, খোলামেলা পোশাকে স্বাচ্ছ্বন্দ্য এবং কাজে উত্সাহ গ্রাহকদের মন জয় করেছে। গ্রেসিকে দেখে খুশি বস গালার উপহার হিসেবে যুবতীর শরীরে কৃত্রিম স্তন জুড়তে বিনামূল্যে অস্ত্রোপচারের প্রস্তাবও দিয়েছেন। তবে ঘন ঘন মোবাইল ফোন থেকে মেসেজ করার অভ্যাস ছাড়ার টিপস দিতেও তিনি ছাড়েননি।
গালারের কীর্তি দেখে অবশ্য রেগে কাঁই টিভি-র দর্শকরা। তাঁদের অনেকেই টুইটারে 'আন্ডারকভার বস'-এর হ্যান্ডলে আপত্তির কথা সাফ জানিয়েছেন। 'অমানবিক' গালারের উপর তাঁদের বিষোদ্গার উপচে পড়েছে। প্রসঙ্গত, ব্রেস্টোরাঁয় কাজ পাওয়ার আগে এক লজিস্টিক সংস্থায় চাকরি করতেন জেসিকা। সেই সংস্থা দেউলিয়া হয়ে উঠে যাওয়ার পর গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য বাধ্য হয়ে পরিচারিকার কাজে বহাল হন। আপাতত সেখান থেকেও বিতাড়িত হয়ে নতুন রোজগারের সন্ধানে রয়েছেন তরুণী।