ভাঙা হাড় জোড়া দিতে গাঁজা!
চিকিৎসা বিদ্যায় গাঁজার আরও একটি ব্যবহার আবিষ্কার করে ফেললেন ইসরায়েলের বিজ্ঞানীরা। ভাঙা হাড় জোড়া লাগাতে গাঁজা গাছের বেশ কিছু উপাদান/অংশ অত্যন্ত কার্যকরী বলে জানিয়েছেন তারা।
জার্নাল অফ বোন অ্যান্ড মিনেরাল রিসার্চ'-এ প্রকাশিত এই গবেষণাপত্র অনুযায়ী গাঁজা গাছে যে অ-সাইকোঅ্যাকটিভ যৌগ ক্যানাবিডল থাকে তা অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ভাঙা হাড় জুড়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
''আমরা দেখেছি ক্যানাবিডল একাই ভাঙা হাড় সারিয়ে তোলার ক্ষমতা রাখে। কোলাজেনাস ম্যাট্রিক্সকে পরিণত করে তোলে, যা হাড় কলাগুলির মিনেরেলাইজেশনের ভিত তৈরি করে।'' জানিয়েছেন এই গবেষণার অন্যতম প্রধান ড. ইয়ানকেল গাবে। তিনি বলেন, একবার এইভাবে ভাঙা হাড় জোড়া লাগলে ভবিষ্যতে ফের তা ভাঙা কঠিন।
মানুষের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে এন্ডোক্যানাবিনয়েড সিস্টেম থাকে। এই সিস্টেম স্কেলেটনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। মানুষের মস্তিষ্ক ও শরীর ক্যানাবিনয়েডের প্রতি স্বাভাবিকভাবেই প্রতিক্রিয়াশীল। গাঁজার মত বাহ্যিক সোর্স থেকে আগত ক্যানাবিডলেও মানুষের মস্তিষ্ক সহজে সাড়া দেয়।
এর আগে বহু গবেষণায় প্রমাণিত ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে গাঁজার জুড়ি মেলা ভার। বহু ভয়ানক ক্যান্সারের ক্ষেত্রে মেটস্ট্যাটিস প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখে ক্যানাবিডল।
এদিকে জার্নাল অফ অ্যালজাইমারস ডিজিজে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গাঁজায় বিদ্যমান ডেল্টা-৯-টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল বা টিএইচসি অ্যালজাইমারকে রুখতে সাহায্য করে। ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ফ্লোরিডার নিউরোসাইন্টিস্টরা জানান, গাঁজা সেবন বয়স্ক মানুষের মস্তিষ্কের অ্যামাইলয়েড বিটার পরিমান কমিয়ে দিতে সক্ষম। সামান্য পরিমানে গাঁজা সেবনের ফলে স্মৃতিশক্তি ধরে রাখা সম্ভব হয়। গবেষকরা এখন টিএইচসি’র মধ্যে ড্রাগ ককটেলের ব্যবহার নিয়ে গবেষণা করছেন। অ্যালজাইমার রুখতে ক্যাফেইন বা ওই জাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার নিয়েও গবেষণা চলছে। তবে তাদের এ গবেষণার ফল শুধুমাত্র বয়স্ক মানুষের নির্দিষ্ট সমস্যার জন্য।