২৫ বছরে ১৮ সন্তানের মা
চীনের বাসিন্দা হলে এতদিনে হয়ত র্যাডফোর্ড দম্পতিকে দেশ ছাড়তে হত। ভাগ্য সুপ্রসন্ন, সেটা হয়নি। তারা ব্রিটেনের বাসিন্দা। তাই মাত্র ২৫ বছরে ১৮ সন্তানের মা-বাবা হয়েও সামনে ১৯ তম সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার সুযোগ পাচ্ছেন।
হ্যা, এই দম্পতি এরইমধ্যে ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় পরিবারের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে ওসামা বিন লাদেনের পরিবারকেও হার মানিয়েছেন তারা। লাদেনের পাঁচ স্ত্রী মিলে ২৩টি সন্তান জন্ম দিলেও ব্রিটেনের সিউ ও নোয়েল র্যাডফোর্ড দম্পতি এ পর্যন্ত জন্ম দিয়েছেন ১৮টি সন্তান।
নতুন অতিথির আগমনে ব্রিটেনের ওই পরিবারটিতে বইছে খুশির আমেজ। গত বুধবার সিউ র্যাডফোর্ড জন্ম দেন এক কন্যা সন্তানের। আর খবরটি সোমবার জানায় ব্রিটেনের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। তাদের পারিবারিক ওয়েবসাইটে নবজাত কন্যা সন্তান হ্যালি আলফিয়ানের ছবি পোস্ট করেন। তবে তারা সরকারের কাছ থেকে ১৮তম সন্তানের জন্য কোনো সুবিধা নিতে চান না বলে জানিয়েছেন।
১৮তম সন্তান প্রসব করার সময় সিউ র্যাডফোর্ড চিন্তায় ছিলেন। কারণ গত বছর তাদের ১৭তম সন্তান গর্ভাবস্থাতেই হারান। ভালোভাবে হ্যালির জন্ম হওয়ায় পরিবারে খুশির আমেজ। নতুন অতিথিকে সব সময় ঘিরে রয়েছে তাদের ১৬ ভাই-বোন।
সিউ ১৪ বছর বয়সে প্রথম মা হন। তার প্রথম সন্তান ক্রিস ২৫ পেরিয়ে ২৬- এ পা দিয়েছেন। ক্রিসের পরে রয়েছে সোফি ২১, চোল ১৯, জ্যাক ১৭, ড্যানিয়েল ১৫, লিউক ১৪, মিলি ১৩, কেটি ১২, জেমস ১১, এলি ৯, অ্যামি ৮, জোস ৭, ম্যাক্স ৬, তিলি ৪, অস্কার ৩ এবং দুই বছরে ক্যাসপার। সবচেয়ে ছোট্টটি এখনও কোল ছেড়ে দোলনায় ওঠার সুযোগ পায়নি।
তবে বিশাল এই পরিবারের ভোরণপোষেণের কোনো সমস্যা হয় না তাদের। ল্যাঙ্কারশায়ারে রয়েছে তাদের বড় বেকারি কারখানা। স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের সংসার চলে। র্যাডফোর্ড দম্পতি জানিয়েছেন, তারা এখনো কোনো সরকারি সুবিধা নেননি সন্তানদের জন্য।
ভবিষ্যতে আর কোন সন্তান নেবার পরিকল্পনা আছে কিনা- এ প্রসঙ্গে এক গাল হেসে দিয়ে সিউ জানান, 'আমরা প্রকৃতির ওপর ছেড়ে দিয়েছি। যতদিন আমাদের সন্তান সৌভাগ্য থাকবে, আমরা গ্রহণ করব।'
এখন দেখার বিষয় কোথায় ঠেকে র্যাডফোর্ড দম্পতির পরিবারের সদস্য সংখ্যা। এ নিয়ে ওই দম্পতি বেশ খুশিতে আছেন। বিশাল পরিবারের সদস্য হওয়ায় ওই দম্পতির সন্তানেরাও বেশ খুশি।